শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন সর্বস্তরের মানুষ।সোমবার(২১ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা ১মিনিটে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান তাদের সামরিক সচিবেরা। স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান যথাক্রমে মিয়া মোহাম্মদ নাঈম রহমান ও গোলাম শাহরিয়ার তালুকদার।এসময় আরও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিন বাহিনীর প্রধান, আইজিপি, শিক্ষামন্ত্রণালয়ের পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বিরোধী দলের পক্ষে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু, ১৪ দলের পক্ষে ডা. দীপু মনি ও হাসানুল হক ইনু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও সিনেট সদস্যবৃন্দ। বিভিন্ন দেশের রাষ্টদূত, এটর্নি জেনারেল আবুল মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষে কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল(বাসদ), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হল, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতি, ঢাকা ইউনিভার্সিটি এলামনাই এসোসিয়েশনের পক্ষে এসোসিয়েশনের সভাপতি এ. কে. আজাদ, মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনসমূহ।শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে হাসানুল হক ইনু বলেন, ভাষা আন্দোলনের বেদিতে দাঁড়িয়ে একাত্তরের স্বাধীনতা অর্জন করেছি, কিন্তু জাতির দুর্ভাগ্য স্বাধীন বাংলাদেশে পচাত্তরে সামরিক ও সাম্প্রদায়িক এই দুই জনশত্রু, জনশয়তান বাংলাদেশকে আবার দখল করার চেষ্টা চালায়। আমরা এখনও ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। আমরা মনে করি ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করতে হলে, যারা একাত্তরের মীমাংসিত বিষয়ে প্রশ্ন তোলে তাদেরকে যুদ্ধাপরাধীদের মত বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে হবে।’
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা
Advertisement