কেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে চীনঘেঁষা বলছে যুক্তরাষ্ট্র?

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: প্রাণঘাতী করোন ভাইরাস নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে চীনের উহানের ল্যাব থেকে এই ভাইরাস। শুধু তাই নয় চীনের পক্ষ নেয়ার অভিযোগে সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় অর্থায়ন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে কেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে চীনঘেঁষা বলা হচ্ছে এটি নিয়ে মুখ খুলেছে মার্কিন প্রশাসন।

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও ব্রেইন মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, সমস্যা হলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই দুর্যোগে তাদের সব বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। এটা এমন নয় যে বহু বছর ধরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় প্রতিবছর ৫০ কোটির বেশি ডলার অর্থায়ন করে। যেখানে চীন মাত্র ৪ কোটি ডলার অর্থায়ন দেয়। তবুও তারা চীনের পক্ষ হয়ে কাজ করছে।

ও ব্রেইন বলেন, চীনের দুর্যোগের মধ্যেও গত ১৪ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয় করোনা একজন থেকে আরেকজনের মধ্যে ছড়ায় না। যেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

গত ফেব্রুয়ারিতে চীনের ভ্রমণের ওপর যে সব দেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল তাদের সমালোচনা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ বিষয়ে ও ব্রায়ান বলেন, এটা সম্পূর্ণ একটি ভুল উপদেশ ছিল। যেটা অনেক বিশেষজ্ঞই প্রত্যাখান করে দিয়েছিলেন।

এদিকে গত ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি করোনা নিয়ন্ত্রণে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও ব্রেইন বলেন, যদি এটা অভূতপূর্ব সাফল্য হয় তাহলে আর কিছু বলার নেই। এটি এখন ১৮৪টি দেশে ছড়িয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংস্কার দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও ব্রেইন বলেন, আমরা আমাদের মিত্রদের সাথে এ নিয়ে আলোচনা করছি। দুর্ভাগ্যবশত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের বিশ্বাস যোগ্যতা হারিয়েছে।

ওয়ার্ল্ড ও মিটারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এ পর্যন্ত করোন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ২৫ লাখ ৫৭ হাজার ৫০৪ জন। মারা গেছেন ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৬২ জন।

Advertisement