ব্রিটবাংলা ডেস্ক : করোনা সংকটে অনেক কেয়ার হোম সরকারী নিয়ম অনুসরন করেনি বলে মন্তব্য করে তোপের মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। কাপুরুষোচিত মন্তব্য আখ্যা দিয়ে এ জন্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবী উঠেছে।
ব্রিটেনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কিছু মৃত্যু নানান প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। হাসপাতালে করোনা রোগিদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে পার্সনাল প্রোটাকশন ইকুইপমেন্ট সংক্ষেপে পিপিই’র অভাবে তুলনামূলক বেশি বিএএমই কমিউনিটির ডাক্তার, নার্সসহ কেয়ার ওয়ার্কারের মৃত্যু এবং হাসপাতালে বিএএমই তথা এশিয়ান মানুষের রহস্যজনকভাবে করোনা মৃত্যু নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে নানান প্রশ্ন এবং বিতর্ক ও সমালোচনা অব্যাহত রয়েছে। এ নিয়ে তদন্ত করেও চুড়ান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করোনা টেন ডাউনিং স্ট্রীট।
অন্যদিকে হাওসপাতালে নেওয়ার পর কেয়ার হোমে থাকা করোনা রোগিদের ততোটা গুরুত্ব না দেওয়া, কেয়ার ওয়ার্কার এবং রোগিদের সুরক্ষায় পিপিই না দেওয়া, সময় মত তাদের টেস্ট না করা ইত্যাদি বিতর্ক, সমালোচনা সংবাদ মাধ্যমে থাকলেও প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন কখনো এই বিতর্কে জড়িত ছিলেন না।
তবে সোমবার কেয়ার হোমকে জড়িয়ে করোনা সংক্রান্ত এক মন্তব্য করে ব্যাপকভাবে পাল্টা সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, করোনা সংকটে কিছু কিছু কেয়ার হোম সরকারের করোনা পলিসি অনুসরন করেনি।
প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রতিবাদ করেছে ব্রিটেনের কেয়ার সেক্টর। মন্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়ার জন্যে দাবী উঠেছে। প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে আনাড়ি এবং কাপুরুষোচিত বলেও উল্লেখ বলেও উল্লেখ করেছেন কেয়ার হোমের পরিচালক এবং নেতারা।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এই মন্তব্যের মাধ্যমে কেয়ার ওয়ার্কারদের অপমান করেছেন বলে দাবী করেছে দ্যা ন্যাশনাল কেয়ার ফোরাম।
লেবার পার্টির শেডো কেয়ার মিনিস্টার লিজ ক্যান্ডল প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, এই মন্তব্যের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কেয়ার ওয়ার্কারদের ছুঁড়ে ফেলে দিলেন। কিন্তু কাউকে দোষারূপ না করে এখানে কোনো সমস্যা থাকলে তা সমাধান করা ছিল সরকারের।
যদিও বিজনেস সেক্রেটারী অলক শর্মা প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে।
উল্লেখ্য ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজারের বেশি কেয়ার হোম রেসিডেন্ট মারা গেছেন বলে ওএনএসের রিপোর্টে বলা হয়েছে।