ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই চলছে ‘লকডউন।’ অফিস আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে হোটেল-রেস্টুরেন্টসহ জীবনের বিনোদনের সব রকম উপদান বন্ধ। মাঠের ক্রিকেট নেই। ক্রিকেটাররা ঘর বন্দী। তবে ঘরে থেকেও কিন্তু অন্যরকম আলো ছড়াচ্ছেন তামিম ইকবাল। সব ফরম্যাটে দেশের সফলতম এ বাঁ-হাতি ওপেনার এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ ভিডিও সঞ্চালনে দেখাচ্ছেন ‘ক্যারিশমা।’ সাবলীল উপস্থাপনা, হাস্যরস, বিষয়বস্তু নির্ধারণ আর রসিকতার মিশেলে চমৎকার উপস্থাপক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন তামিম।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় দেশের দুই দ্রুত গতির বোলার রুবেল হোসেন এবং তাসকিন আহমেদকে নিয়ে লাইভে আসে তামিম ইকবাল। সেখানে রুবেল ও তাসকিনের খেলোয়াড়ী জীবন আর মাঠের বাইরের নানা গল্প কাহিনী উঠে আসে। এর মাঝে উঠে আসে রুবেল ও রিরাট কোহলির দ্বন্দ্বের কথা।
তামিমের প্রশ্নের জবারে রুবেল হোসেন বলেন, ‘আমরা একসাথে আন্ডার নাইন্টিন খেলেছি। সেখানে থেকে তার সাথে আমার একটু দ্বন্দ্ব লেগে আছে এমন একটা জিনিস আর কি। আন্ডার নাইন্টিনের অনেক ম্যাচেই ও (কোহলি) প্রচুর পরিমাণ স্লেজিং করতো। হয়তোবা ন্যাশনাল টিমে এসে একটু কমেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা টুর্নামেন্টর একটা ম্যাচে ছিলো; ওই ম্যাচে আমাদের ব্যাটম্যানরা যারাই মাঠে নামছে তাদের উল্টা-পাল্টভাবে স্লেজিং করছিলো কোহলি। কীভাবে গালিগালাজ করছিলো সেটা আমরা সবাই কমবেশি জানি। ওইখানে আমি ওকে আউট করার পর আমিও ওকে গালি দিয়েছি। ওই সময় সে ব্যাটটা উল্টো করে ধরে আমার দিকে তেরে আসছিলো। আমিও তখন রেখে ওর দিকে যাচ্ছিলাম। পরে ম্যাচ আম্পায়ার এসে বিষয়টা সমাধান করে দেয়। ওই সময় থেকে তার সাথে আমার দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এরপর ন্যাশনাল টিমে এসেও কোহলির স্লেজিং কমেনি। বিশেষ করে বাংলাদেশের সাথে খেলার সময় কোহলি একটু বেশিই স্লেজিং করে। মূলত আন্ডার নাইন্টিন থেকেই কোহলি সাথে আমার দ্বন্দ্ব।’