ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ন একটি পারমাণবিক ডুবোজাহাজ ছেড়েছে চীন। দেশটির উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা মহামারি ঠেকাতে যখন বিশ্ব হিমসিম খাচ্ছে তখন এ ডুবোজাহাজ চালু করা হলো। পরমাণু ডুবোজাহাজ চালু করার বিষয়ে কোনও পূর্ব ঘোষণা দেয়া হয় নি। বরং চীনের রাষ্ট্রীয় দৈনিক গ্লোবাল টাইমসে প্রসঙ্গক্রমে একে পানিতে নামানোর খবর প্রকাশিত হয়েছে। চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির নৌবাহিনী বা পিএলএএন’র প্রতিষ্ঠার ৭১তম বার্ষিকী উদযাপন সংক্রান্ত খবরে এ তথ্য প্রকাশিত হয়। এ খবরে পিএলএএন’র নতুন অস্ত্রের তালিকা প্রকাশ করে একে বাহিনীটির সাম্প্রতিক অর্জন হিসেবে তুলে ধরা হয়। নতুন অস্ত্রের তালিকায়, চীনের টাইপ ০৫৫ ডেস্ট্রয়ার, চীনে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী, ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী নতুন টহল বিমান কেকিউ -২০০’এর পাশাপাশি নতুন পরমাণু ডুবোজাহাজের কথাও উল্লেখ করা হয়। খবরে ডুবোজাহাজের শ্রেণি উল্লেখ করা না হলেও একে কৌশলগত সম্পদ হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
সাধারণভাবে পারমাণবিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহক ডুবোজাহাজ বা এসএসবিএন বোঝাতে কৌশলগত সম্পদ শব্দ-যুগল ব্যবহার করা হয়। নতুন অস্ত্রের তালিকায় দেখান হলেও এটি যে চীনের টাইপ ০৯৬এসএসবিএন হিসেবে পরিচিত পরবর্তী প্রজন্মের প্রথম ডুবোজাহাজ নয় সে ব্যাপারে নিশ্চিত মত প্রকাশ করেন অনেক বিশেষজ্ঞ। পরবর্তী প্রজন্মের এ ডুবোজাহাজ চালু হতে আরও অন্তত চার বছর লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া, উপগ্রহ থেকে তোলা ছবিতে এখনও নতুন প্রজন্মের চীনা ডুবোজাহাজ ধরা পড়ে নি।