বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে যে আইনি জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে,সেজন্য আওয়ামী লীগ দায়ী নয় বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন,রাজনীতিতে অলঙ্ঘনীয় দেয়াল বিএনপি সৃষ্টি করেছে।বরং বেগম জিয়াকে দন্ড স্থগিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলের বাইরে এনে বাসায় থাকার ব্যবস্থা করেছেন।শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা সত্ত্বেও তাকে সর্বোচ্চ মানবিকতা দিয়ে বাসায় থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।মঙ্গলবার ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং সহযোগী সংগঠন সমূহের ঢাকা মহানগর (উত্তর-দক্ষিণ) এর সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন,এটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দেয়া মামলা।মামলায় বেগম জিয়ার শাস্তি হয়েছে।সুতরাং আইনতো তাকে মানতে হবে। মানবিকতা যা করার সেটি করা হয়েছে। তার বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে যে আইনি জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে,সে জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী নয়।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, হাওয়া ভবনের নির্দেশে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হল তাদের নেতার পৃষ্ঠপোষকতায়। জিয়ার সম্মতি ছাড়া এটি সম্ভব ছিল না। অথচ আওয়ামী লীগতো ষড়যন্ত্র করেনি।ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতার জন্য বিএনপিকে দায়ী করেন ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের ওপর ভর করে মারামারি, হানাহানি সৃষ্টি করেছে। বিএনপি ঘোমটা পরে প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করছে। তারা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীদের আশ্রয় করে মারামারি করছে।তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে উপস্থিতি সর্বোচ্চ ছিল। একজন কমিশনারও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। নির্বাচনে পার্টিসিপেশন মূল কথা। এবারের নির্বাচনে রেকর্ড পার্টিসিপেশন হয়েছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন এ দেশে কখনও শান্তিপূর্ণ হয়নি। তবে এতে শেখ হাসিনা সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি কেউ অপরাধ করে পার পাবে না।সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া আগে থেকেই কার্যকর ছিল। মাঝে শিথিলতা দেখা গেছে। সরকার বিআরটিসি বাসে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিত করেছে।সভায় বিজয় দিবসে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় র্যালি হবে। ভারতের রাষ্ট্রপতি ১৭ ডিসেম্বর জাতীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, আলোকসজ্জাসহ মাসব্যাপী কর্মসূচি থাকবে। সহযোগী সংগঠন আওয়ামী লীগের কর্মসূচির সঙ্গে মিলে নিজস্ব কর্মসূচি নেবে।