‘খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত শেখ হাসিনার মানবিকতায়, বিএনপির আন্দোলনে নয়’

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: সরকার কোনো অপরাধীকে ছাড় দিচ্ছে না দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এই যে ধর্ষণবিরোধী, নারী নির্যাতনবিরোধী আন্দোলন, সামাজিক আন্দোলন, সেখানেও আমাদের দল আছে। ধর্ষণ-নারী নির্যাতনের সঙ্গে যারাই জড়িত, কোনো অপারাধীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড় দেননি। কোনোও প্রকার আপস করা হয়নি।

শুক্রবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ব্রিটেনের মতো দেশে ৫৫ হাজার নারী ধর্ষিত, নির্যাতিত হয়েছেন। করোনার জন্য সারা বিশ্বে পারিবারিক সহিংসতা বেড়ে গেছে। নারীরা বেশি শিকার হয়েছেন। সেখানে বাংলাদেশ ব্যতিক্রম নয়। আমাদের দেশের হিসাবে ১ বছরে ১ হাজার ধর্ষণ-নির্যাতনের কথা আপনি আনতে পারেন। কিন্তু ব্রিটেনের মতো দেশে এই যে ৫৫ হাজার নারী নির্যাতিত হয়েছে, সেখানে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকারের পদত্যাগের দাবি কেউ করেনি।

বিএনপির আন্দোলনের হুমকির উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে ব্রিফিং করে আন্দোলনের ডাক দিচ্ছেন। পরীক্ষার পরে আন্দোলন, রোজার ঈদের পরে আন্দোলন, কখনও কোরবানির পরে আন্দোলন; কত রোজা গেল, ঈদ কত গেল, কত পরীক্ষা চলে গেল, এই বছর না ওই বছর, আন্দোলন করে বিএনপি।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য বিএনপি ঢাকা মহানগরীতে একটা বড় বিক্ষোভ সমাবেশ করতে পারেনি। শেখ হাসিনার মানবিকতা, উদারতায় ও খালেদা জিয়ার বয়সজনিত বিষয়টি চিন্তা করে তার দণ্ডাদেশ ৬ মাস স্থগিত। এটি বিএনপির আন্দোলনের ফসল নয়, এটা শেখ হাসিনার মানবিকতা এবং উদারতার দৃষ্টান্ত।

এর আগে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবিএম রিয়াজুল কবীর কাওছার, সাহাবুদ্দিন ফরাজী, সানজিদা খানম, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সভার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের জানান, ৩ নভেম্বর বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে স্বল্প পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেল হত্যা দিবসের আলোচনা হবে। সেখানে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন।

Advertisement