ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: খুলনায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ঘর চাপা পড়ে প্রমিলা মণ্ডল (৫২) নামে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। রবিবার সকাল ১০টার দিকে দাকোপ উপজেলার দক্ষিণ দাকোপ গ্রামের এই ঘটনা ঘটে। নিহত প্রমিলা মণ্ডল দক্ষিণ দাকোপ গ্রামের সুভাষ মণ্ডলের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, প্রমিলা মণ্ডল সাইক্লোন শেল্টার থেকে দক্ষিণ দাকোপ গ্রামের নিজ বাড়িতে প্রয়োজনীয় জিনিস নিতে আসেন। তিনি ঘরে ঢুকার পর শিরিষ ও নারকেল গাছ ঘরের ভেঙে পড়লে তিনি ঘর চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের চার ঘণ্টার তাণ্ডবে খুলনার উপকূলীয় উপজেলা দাকোপ ও কয়রার দুই সহস্রাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত এবং গাছপালা লণ্ড-ভণ্ড হয়ে গেছে।
খুলনা জেলা কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বরত কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম জোয়ার্দার বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে ঘরের ওপর গাছ উপড়ে পড়ে দাকোপ উপজেলার দক্ষিণ দাকোপ গ্রামে প্রমিলা মণ্ডল নামের এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। তিনি ওই গ্রামের সুভাষ মণ্ডলের স্ত্রী। তিনি জানান, ঝড়ে কয়রা উপজেলায় দেড় সহস্রাধিক ও দাকোপ উপজেলায় তিন শতাধিকসহ খুলনা জেলায় দুই সহস্রাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া বহু গাছপালা উপড়ে ও ভেঙে গেছে।
দাকোপ উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বুলবুলের তাণ্ডবে সাত শতাধিক কাঁচা বাড়িঘর ও বহু গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে।
খুলনা জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল সুন্দরবন উপকূলে প্রথম আঘাত হানে। রাত তিনটার দিকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও কয়রা অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড়টি খুলনা, মংলা, বাগেরহাট ও পিরোজপুরের দিকে ধাবিত হয়। ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে ৬০ কিলোমিটার বেগে খুলনা, মংলা, বাগেরহাট ও পিরোজপুরের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়ায় ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে নদীতে জোয়ার না থাকায় জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা নেই। তিনি জানান, দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় বুলবুল খুলনা অঞ্চল অতিক্রম করতে পারে।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, ঘূণিঝড়ে দাকোপ উপজেলায় প্রমিলা মণ্ডল নামে একজন নারী নিহত হয়েছেন। তবে জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি থাকায় বড়ো ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে তিনি জানান।