ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচন-২০২০ ফলাফলে আওয়ামী লীগ পন্থি প্যানেল বিজয়ী হয়েছে। নির্বাচনে ১৪টি পদের মধ্যে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদকসহ ১০টি পদে জয়লাভ করেছে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ।
নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ মনোনীত প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম ৬৮৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপি সমর্থিত সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদ মনোনীত প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোল্লা মোহাম্মদ মাসুম রশীদ পেয়েছেন ৫৫৮ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ অ্যাডভোকেট কে এম ইকবাল হোসেন ৬২৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদ মনোনীত প্যানেলের প্রার্থী মোল্লা মশিয়ুর রহমান নান্নু পেয়েছেন ৬১৪ ভোট। সহ-সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদ মনোনীত মো. মোশারফ হোসেন ও মো. আওছাফুর রহমান।
এছাড়া যুগ্ম সম্পাদক পদে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ মনোনীত এ কে এম আবু নিক্সন, লাইব্রেরি সম্পাদক পদে শেখ আশরাফ আলী পাপ্পু, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে আনোয়ারা মমতাজ আন্না নির্বাচিত হয়েছেন।
অপরদিকে, ৭টি সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ মনোনীত মো. আইউব হোসেন, শেখ আবু বক্কার সিদ্দিক নাঈম, মোছা. শাম্মি আকতার, উল্লাস কর বৈরাগী, আলমগীর বিশ্বাস, সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদ মনোনীত আসাদ আলী সরকার ও রুবাইয়া মাহরু।
ভোট গণনা শেষে রবিবার গভীর রাতে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এ ফলাফল ঘোষণা করে। এর আগে রবিবার সকাল ৯টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত সমিতির মধ্যম ভবনের দ্বিতীয় তলায় এ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে তিন সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন আ ফ ম মহসীন। অপর দু’জন সদস্য হলেন মো. লিয়াকত আলী মোল্লা ও বেগম আক্তার জাহান রুকু।
এবার আওয়ামী লীগপন্থি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও বিএনপিপন্থি সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে দু’টি প্যানেলে ১৪টি পদের বিপরীতে ২৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সমিতির ১ হাজার ৩৯১ জনের মধ্যে ১ হাজার ২৫৬ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচনে বিএনপিপন্থি সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদ প্যানেল বিজয়ী হয়েছিল। সে নির্বাচনে ১৪টি পদের মধ্যে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদকসহ ১১টি পদ পেয়েছিল প্যানেলটি।