খ্রীস্টমাসের আগে ইংল্যান্ডে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা ঘোষণা করলেন বরিস জনসন

ব্রিটবাংলা ডেস্ক : আগামী খ্রীস্টমাসের আগে ইংল্যান্ডে যতোটা সম্ভব স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে ধাপে ধাপে বড় ধরনের লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। শুক্রবার টেন ডাউনিং স্ট্রীটে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানিয়েছেন, এর অংশ হিসেবে পহেলা অগাস্ট থেকে স্টাফরা কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারবে। তবে এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে চাকুরীদাতা কোম্পানী এবং চাকুরীজীবি উভয়ে মিলে। স্টাফদের কাজে ফেরার মতো নিরাপদ পরিবেশ আছে কি না, কোম্পানীর পক্ষ থেকে তা নিশ্চিত করেই স্টাফদের অফিসে ফেরার আহ্বান করতে পারবে। আর কর্মস্থলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে যতোটা প্রয়োজন পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করা যাবে। এছাড়াও পহেলা অগাস্ট থেকে রূপ চর্চার দোকান অর্থাৎ বিউটি পার্লার অভ্যন্তরীন লাইভ শো এবং ক্যাসিনোগুলো পুনরায় চালু হবে। আর সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল, নার্সারি এবং কলেজ পুরোপুরি অর্থাৎ ফুলটাইম খোলা হবে। আর অক্টোবরে পরিস্থিতি আরো স্বাভাবিক হলে স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে ফিরতে পারবেন দর্শকরা। এছাড়া অন্যান্য লাইভ ইভেন্টও চালু করা যাবে।
গবেষণা রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী শীতে সম্ভাব্য দ্বিতীয় দফায় করোনা ওয়েব মোকাবিলার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এনএইচএসকে অতিরিক্ত ৩ বিলিয়ন পাউন্ড ফান্ড দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই ফান্ড তাৎক্ষনিকভাবে বরাদ্দ দেওয়া হবে। এছাড়াও অক্টোবরের ভেতরে দিনে অন্তত ৫০ হাজার করোনা টেস্ট করার হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
এদিকে লকডাউনের ক্ষেত্রে স্থানীয় কাউন্সিলকে বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। শুক্রবার থেকে করোনার সংক্রমন বাড়লে যে কোনো সময় স্থানীয়ভাবে লকডাউন আরোপের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে স্থানীয় কাউন্সিলকে। এমনকি করোনা সংক্রমন ঠেকাতে যে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরাসরি গিয়ে বন্ধ করে দেবার ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে স্থানীয় কাউন্সিলকে।
এদিকে গত চব্বিশ ঘন্টায় করোনায় বৃটেনে আরো ১শ ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনা পজিটিভে বৃটেনে সর্বমোট ৪৫ হাজার ২শ ৩৩ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে হেলথ ডিপার্টমেন্ট। অন্যদিকে ইউকের অফিস ফর ন্যাশনাল স্টেটিসটিকস সংক্ষেপে ওএনএস জানিয়েছে, বৃটেনে এ পর্যন্ত ৫৫ হাজার ৭শ মানুষ মারা গেছেন। যাদের ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ কোভিড-১৯ বলে উল্লেখ রয়েছে।

Advertisement