বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা বলেছেন, সাংবাদিকদের দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের ফসল গণমাধ্যমকর্মী (চাকরি শর্তাবলী) আইন ন্যায়ানুগ ও সুবিচারপূর্ণ হতে হবে।বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শেখ মামুনুর রশিদ আজ এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।তারা বলেন, বিভিন্ন সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি প্রস্তাবিত এ আইনে সাংবাদিকদের বিদ্যমান অনেক সুযোগ-সুবিধা কেটে অর্ধেক করা হয়েছে, যা একেবারেই কল্পনাতীত ও অমানবিক।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ৭০ ও ৮০’র দশকে সাংবাদিকদের জন্য নির্ধারিত সুবিধাদি বর্তমান সমাজে অন্যান্য পেশাজীবীর তুলনায় অতি সামান্য। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন পেশার মানুষ অনেক বর্ধিত সুবিধা ভোগ করছেন। নবম ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদে সাংবাদিকদের দুটি গ্র্যাচুইটি বহাল রাখা হয়েছে।কিন্তু পরবর্তীতে মন্ত্রিসভা কমিটি এই গ্র্যাচুইটি একটি করার প্রস্তাব করেন। এতে সাংবাদিক মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশে বিদ্যমান আইনে চলমান সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা যায় কিন্তু কমানোর কোন বিধান নেই। এখন আবার গণমাধ্যমকর্মী আইনে অবশিষ্ট সুবিধাদি কর্তনেরও প্রস্তাব করা হয়েছে।প্রস্তাবিত অবস্থায় আইনটি পাস হলে সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তা ও সামাজিক মর্যাদা বলতে কিছুই থাকবে না বলে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন।সাংবাদিকদের রুটি, রুজি, মর্যাদার আন্দোলনে কাজ করে সাংবাদিক ইউনিয়ন। আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী সাংবাদিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার মৌলিক অধিকার রয়েছে।বিএফইউজে সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, সত্তর দশকে নির্ধারিত সাংবাদিকদের জন্য বছরে দুটি গ্র্যাচুইটি এখন চারটি করার দাবি উঠেছে। অথচ প্রস্তাবিত আইনে ওই গ্র্যাচুইটি কমিয়ে একটি করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এমনিভাবে সকল সুযোগ-সুবিধা কাটছাঁট করা হয়েছে যা বিস্ময়কর ও অনভিপ্রেত। আইনটি চূড়ান্ত করার আগে সাংবাদিকদের সবধরনের ন্যায্য দাবি বিবেচনায় নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি নেতৃবৃন্দ আহ্বান জানান।