ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: গাজীপুরের শ্রীপুরে মা ও দুই মেয়ে ও প্রতিবন্ধী ছেলেকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময়ে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের জৈনা বাজার কলেজ রোড (আবদার) এলাকায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনাটি প্রকাশ পায়।
নিহতরা হলেন- মালয়েশিয়া প্রবাসী কাজল মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪০), মেয়ে নূরা (১৬), হাওরিন (১১) ও প্রতিবন্ধী ছেলে ফাদিল (৭)।
প্রবাসী কাজল মিয়ার ভাই আরিফ জানান, ২০ বছর আগে ইন্দোনেশিয়া থাকাকালীন তার ভাই সে দেশের নাগরিক ফাতেমা আক্তারকে বিয়ে করে দেশে নিয়ে আসেন। ফাতেমার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার গোলবাড়ী গ্রামে।
আবদার গ্রামের আব্দুল আউয়াল কলেজের পশ্চিম পাশে জমি কিনে তারা দ্বিতল বাড়ি নির্মাণ করেন। পুরো বাড়িতে কাজলের স্ত্রী ফাতেমা বেগম তার দুই মেয়ে ও প্রতিবন্ধী এক ছেলেকে নিয়ে বসবাস করেন।
আরিফ আরও জানান, বুধবার সন্ধ্যার দিকে তার ভাইয়ের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বৃহস্পতিবার সকালে তার বাড়িতে বাজার করে দিতে বলেন। সাড়ে ১০টার দিকে বাড়িতে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
পরে দুপুর ২টার দিকে আবার ডাকডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে পাশের বাড়ির টিনের চালের ওপর দিয়ে বাড়িতে ঢুকেন। পরে ওই বাড়ির দোতলার একটি কক্ষের একই মেঝেতে সকলের রক্তমাখা গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন।
তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় মেম্বার তারেক হাসান বাচ্চু বলেন, গভীর রাতের কোনো এক সময় এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এ ঘটনার সময় কোনো চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ কেউ পায়নি।
শ্রীপুর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, খবর পেয়ে বিকাল সাড়ে ৪টায় পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে রয়েছে। নিহত মা ও দুই মেয়ের দেহে কোনো কাপড় ছিল না। ঘটনাস্থলে একটি ছোরা ও বটি পাওয়া গেছে।
একাধিক ব্যাক্তি এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরীর প্রস্তুতি চলছে। তাৎক্ষণিক হত্যাকাণ্ডের কারণ জানাতে পারেননি ওসি।