ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: গাজীপুরের নাওজোড় এলাকায় দিগন্ত সোয়েটার কারখানায় হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে কারখানাটির বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এরপর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে তারা। এসময় কোস্ট টু কোস্ট নামে অপর একটি কারখানায়ও হামলা চালিয়ে বেশ কিছু গাড়িসহ ব্যাপক ভাঙচুর করে শ্রমিকরা। ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও হামলার ঘটনায় শ্রমিক ও পথচারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় আশেপাশের অন্তত ১০টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিক ও পুলিশ জানায়, দিগন্ত সোয়েটার কারখানায় জ্যাকার মেশিন বসানোকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের মধ্যে সম্প্রতি ছাঁটাই আতঙ্ক দেখা দেয়। এরই প্রেক্ষিতে গত কয়েকদিন ধরে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধে আন্দোলন করে আসছে শ্রমিকরা। মঙ্গলবার মালিক পক্ষ পুলিশের উপস্থিতিতে শ্রমিকদের দাবি মেনে নেয়।
কিন্তু বুধবার সকালে শ্রমিকরা কারখানায় কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন সেকশনে মেশিনের লাইট, মেশিন খোলা অবস্থায় দেখতে পায়। এরপরই তারা আন্দোলনে নেমে কারখানায় ভাঙচুর চালায় ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা মিছিল সহকারে বের হয়ে পাশ্ববর্তী কোস্ট টু কোস্ট কারখানায় গিয়ে ওই কারখানার শ্রমিকদের বের করার চেষ্টা করে। শ্রমিকরা বের হয়ে না আসলে আন্দোলনরত শ্রমিকরা সেখানে হামলা চালায়। এসময় তারা কারখানার মূল ফটক ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। সেখানে তারা ভবনের কাঁচ, আইটি সেকশনের কম্পিউটার, মেশিনপত্র ভাঙচুর করে এবং গুরুত্বপূর্ণ নথি বাইরে ফেলে দেয়। পরে তারা মোটর সাইকেল, প্রাইভেটকার, পিকআপসহ অন্তত ১০টি গাড়ি ভাঙচুর করে। এসময় শ্রমিকদের ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও হামলায় পথচারীসহ অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে বাসন থানা পুলিশ, শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে শান্ত করে এবং তাদের সড়ক থেকে হটিয়ে দেয়।
বাসন থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, দিগন্ত সোয়েটার কারখানার মালিক পক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের ঝামেলার কারণে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।