চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার ১৪ টিতে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত কোনো রোগীর সন্ধান মেলেনি। এ সময়ে হাটহাজারী উপজেলার একজনসহ ১২ জনের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণ হার ০ দশমিক ৮৫ শতাংশ। করোনায় আক্রান্ত কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।জেলার করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার রিপোর্টে এসব তথ্য জানা যায়।প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর দশ ল্যাবে গতকাল চট্টগ্রামের ১ হাজার ৪০১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন পজিটিভ ১২ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১১ জন ও হাটহাজারী উপজেলার ১ জন। অবশিষ্ট ১৪ উপজেলায় নতুন কোনো আক্রান্ত পাওয়া যায়নি। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ২৬ হাজার ৫৪৪ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯২ হাজার ৩৩ জন ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৫১১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে শহর ও গ্রামে কেউ মারা যাননি। এতে জেলায় করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৩৪ জন ও গ্রামের ৬২৮ জন। ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৩৯৭ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে শহরের ২ টি নমুনায় করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। সরকারি পরীক্ষাগারের মধ্যে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ২০৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৪ জন সংক্রমিত শনাক্ত হন। বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ৪ টি নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ২ টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ১৪ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে একটিতেও ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেনি।
বেসরকারি ল্যাবরেটরি এপিক হেলথ কেয়ারে ৯২ নমুনার মধ্যে শহরের ২ টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৪৬ নমুনায় শহরের একটিতে জীবাণুর উপস্থিতি শনাক্ত হয়। এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৫০ জনের নমুনা পরীক্ষায় হাটহাজারীর একজনের শরীরের ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। এছাড়া, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১৩২, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১৩৪, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১০০, ল্যাব এইডে ২ এবং এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ২২৭ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পাঁচ ল্যাবে পরীক্ষিত ৫৯৫ নমুনার সবগুলোরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।এদিন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের একটি নমুনাও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়নি। ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, শেভরনে ০ দশমিক ৫০ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ৯৭, আরটিআরএলে ৫০, এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ২ দশমিক ১৭, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ২ দশমিক ১৭ ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ২ শতাংশ এবং ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, ল্যাব এইড, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাব এবং এন্টিজেন টেস্টে ০ শতাংশ।