চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমে কমছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৪ জন নতুন বাহক শনাক্ত হন। সংক্রমণ হার ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। এ সময়ে শহর ও গ্রামে করোনায় কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
করোনা সংক্রান্ত জেলার হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর ছয় ল্যাবরেটরিতে গতকাল ১২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ৪ জনই শহরের বাসিন্দা। চট্টগ্রামের কোনো উপজেলায় নতুন কোনো সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৫৯৪ জনে। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯৩ হাজার ৭৩৪ জন এবং গ্রামের ৩৪ হাজার ৮৬১ জন। গতকাল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেউ মারা যাননি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৭ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৭ জন ও গ্রামের ৬৩০ জন।ল্যাবভিত্তিক আজকের রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ২১ টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২ টিতে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। বেসরকারি এপিক হেলথ কেয়ারে ১৩ জনের নমুনায় একজনের পজিটিভ রেজাল্ট আসে। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১৮ টি নমুনার মধ্যে একটি আক্রান্ত চিহ্নিত হয়। এছাড়া, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৩১, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১৯, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ৭ ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে পরীক্ষিত ১৪ নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।এদিন, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল, ল্যাব এইড, এভারকেয়ার হসপিটাল ও এন্টিজেন টেস্টে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পরীক্ষার জন্য যায়নি।ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ, এপিক হেলথ কেয়ার ৭ দশমিক ৬৯ ও মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং শেভরন, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল এবং এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।
