চট্টগ্রামে নতুন ১৭ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ

চট্টগ্রামে নতুন ১৭ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর আট ল্যাবরেটরি ও এন্টিজেন টেস্টে গতকাল ১২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। নতুন ১৭ ভাইরাসবাহকের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১৫ জন ও দুই উপজেলার ২ জন। উপজেলার ২ জনের মধ্যে ফটিকছড়ি ও সীতাকু-ে একজন করে রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১ লাখ ২৯ হাজার ১৩৩ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯৪ হাজার ১৫৪ জন ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৯৭৯ জন। করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৭ জন রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৭ জন ও গ্রামের ৬৩০ জন। ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ২৮ নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৬ ও গ্রামের একটি করে আক্রান্ত পাওয়া যায়। বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১০ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। শেভরনে পরীক্ষিত ২৮ নমুনার মধ্যে শহরের ৪ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব চিহ্নিত হয়। এপিক হেলথ কেয়ারে ১৯ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৩ টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে। এছাড়া, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৪, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৩, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৫ ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১৬ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। চার ল্যাবে ২৮ নমুনার একটিতেও করোনার জীবাণু মিলেনি। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ১২ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে গ্রামের একজন আক্রান্ত বলে জানানো হয়। এদিন ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি), চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, ল্যাব এইড ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবরেটরিতে কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে চমেকহা’য় ২৫ ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২০ শতাংশ, শেভরনে ২৪ দশমিক ২৮, এপিক হেলথ কেয়ারে ১৫ দশমিক ৭৯ এবং এন্টিজেন টেস্টে ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।

Advertisement