এশিয়ার পরাশক্তি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো এবং জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল। সোমবার (৫ জুলাই) ভার্চুয়ালি বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তিন দেশের সম্পর্কের উন্নতির কথা আলোচনার পাশাপাশি মানবাধিকার এবং পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়টিও আলোচনায় উঠে এসেছে।জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, বৈঠকে বিশ্বের অন্যতম তিনটি পরাশক্তি দেশের তিন রাষ্ট্রপ্রধানই একটি বিষয়ে সহমত হয়েছেন। আর তা হচ্ছে- চীনের প্রতিষ্ঠানগুলো ইউরোপে এবং ইউরোপের প্রতিষ্ঠানগুলো চীনে যেন ভালো পরিবেশে কাজ করতে পারে। কাজের ক্ষেত্রে কাউকে যেন কোনো সমস্যায় পড়তে না হয়। একই সঙ্গে ইউরোপের সঙ্গে চীনের বিমান চলাচল ফের চালু করার প্রস্তাবও উঠে এসেছে বৈঠকে।এ দিকে বৈঠকের পর ফরাসি মুখপাত্র দাবি করেছেন, পারস্পরিক স্বার্থ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বৈঠকে মানবাধিকার নিয়েও দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। জার্মানি এবং ফ্রান্স দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানই উইঘুর মুসলিমদের ওপর অত্যাচার এবং জোর করে কাজ করানোর প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছেন।
চীনের একনায়কতান্ত্রিক মনোভাব নিয়েও শি জিনপিংকে জানিয়েছেন তারা। এমনকি বৈঠকে আলোচনা হয়েছে এসেছে হংকং প্রসঙ্গেও। তবে এসব ইস্যুতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কী বলেছেন, তা জানা যায়নি।বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এবং পরিবেশ নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। চীনের প্রশাসন কয়লার সংস্থাগুলোকে যেন সমর্থন না করে, তা নিয়ে শি জিনপিংয়ের কাছে আবেদন জানিয়েছেন মারকেল এবং ম্যাক্রো। পাশাপাশি কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।তিনি দেশের এই ভার্চুয়াল বৈঠকে উঠেছিল ইরান প্রসঙ্গও। নতুন করে পরমাণু চুক্তিতে কীভাবে ইরানকে ফেরানো যায়, তা নিয়ে তিন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানই নিজেদের মতামত আলোচনা করেছেন।উল্লেখ্য, কিছুদিনের মধ্যেই গ্লাসগোয় কপ-২৬ এর সম্মেলন শুরু হবে। তারপর রোমে জি-২০ ভুক্ত দেশগুলোর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তার আগে তিন দেশের এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।