চীনের উইঘুর মুসলমানদের ওপর নির্যাতন বন্ধের দাবীতে লন্ডনে বিশাল সমাবেশ

চীনের উইঘুর মুসলমানদের ওপর অবিলম্বে সবধরনের নির্যাতন বন্ধের দাবী জানিয়েছেন লেবার পার্টির শ্যাডো সেক্রেটারি অব এস্টেট এমিলি থর্নবেরি এমপি । তিনি বলেন, উইঘুর মুসলমানদের ওপর নির্যাতন সবধরনের মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লংঘন । উইঘুর মুসলিমদের সাহায্যে আমাদেরকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে যা করার তা করতে হবে।

তিনি গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় লন্ডন মুসলিম সেন্টারে চীনের উইঘুর মুসলিমের ওপর নির্মম নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলেন। পঁচিশটি সংগঠনের সমন্বয়ে কুরতুবা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এই সমাবেশে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার প্রায় পাঁচশ’ মানুষ অংশগ্রহণ করেন ।

কুরতুবা ফাউন্ডশনের সিইও আনাস আল তিকরিতির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির শ্যাডো সেক্রেটারি অব স্টেট এমিলি থর্নব্যারি এমপি, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মানবাধিকার আইনজীবী রডনী ডিক্সন কিউসি, লন্ডনে বসবাসরত উই্ঘুর মুসলিম গীতিকার ও সংগীতশিল্পী রাহিমী মাহমুত, মানবাধিকারকর্মী মাহমুত টুরডি, বিদেশনীতি ও আন্তর্জাতিক অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর পল রেনলডস, মুসলিম কাউন্সিল অব বৃটেনের সেক্রেটারি জেনারেল হারুন খান, টিভি এন্ড রেডিও প্রেজেন্টার ইয়েন চান ও মানবাধিকারকর্মী লুইজ পেই জনস।
শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইস্ট লন্ডন মস্ক ও লন্ডন মুসলিম সেন্টারের ডাইরেক্টর দেলওয়ার খান।

সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে মুসলমানদের উপর অন্যায় অত্যাচার বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য চীন সরকারের প্রতি আহবান জানান । বক্তারা বলেন, উইঘুর মুসলিমদের ওপর নির্যাতন আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের সম্পুর্ণ লংঘন । এই অন্যায় নির্যাতনের জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনের সব দরজা খোলা আছে। আইনী পদক্ষেপের মাধ্যমে উইঘুর মুসলিমদের সাহার্য করতে হবে।

রডনী ডিকসন কিউসি বলেন, উইঘুর মুসলিমদের ওপর নির্যাতন আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের সম্পুর্ণ লঙ্ঘন।  উইঘুরদের বেআইনীভাবে আটক কারে কারাগারে বন্দি রাখা ও নির্যাতনের পেছনে যাদের ইন্ধন রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের একাধিক আইনী উপায় আমাদের সম্মুখে উন্মুক্ত রয়েছে। আমাদেরকে সেই আইনী পদক্ষেপগুলো নিতে হবে।

লন্ডনের বাসিন্দা উইঘুর মুসলিম রাহিম মাহমুত বলেন, চীন ত্যাগের পর থেকেই তার পরিবারের ওপর চরম নির্যাতন চলছে । তিনি বলেন, “চীন থেকে বহিস্কৃত ও নির্যাতিত অন্য উইঘুর মুসলিমদের মতোই আমিও দীর্ঘদিন যাবত আমার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি । উইঘুর মুসলমানদের আটকে রাখা ক্যাম্পে ক্রমবর্ধমান মৃত্যুর ঘটনা আমার পরিবারের সদস্যদের বেঁচে থাকা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে আছি।

মাহমুত টুরডি বলেন, আমার বোনকে ২০১৬ সালের  ২৭ জুলাই থেকে ক্যাম্পে রাখা হয়েছে । আমার ছোট ভাইও কয়েক বছর ধরে কারাগারে রয়েছে । উপরন্তু সম্প্রতি জানতে পারি যে, গত জানুয়ারিতে আমার বড় ভাইকে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।

কবি ও পন্ডিত আজিজ ঈসা এলকুন বলেন “চীনা সরকার বহির্বিশ্বের সাথে উইঘুর মুসলিম কমিউনিটির সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে ।

Advertisement