ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার বিকালে চেন্নাই থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে ১৬৪ জন দেশে ফিরেছেন। এ সব যাত্রীরা চেন্নাই, ভেলোর ও বেঙ্গালুরুসহ দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
নয়া দিল্লীস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন এবং কলকাতা ও মুম্বাইস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহের ব্যবস্থাপনায় আগামী ১ ও ৩ মে কলকাতা থেকে, ২ ও ৫ মে দিল্লি থেকে, ৩ মে মুম্বাই এবং ১ ও ২ মে চেন্নাই থেকে আটটি বিশেষ ফ্লাইটে সহস্রাধিক বাংলাদেশি দেশে ফিরবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। চেন্নাই থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এবং অন্যান্য শহর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ফ্লাইটগুলি পরিচালনা করছে। চিকিৎসাধীন রোগী ও বিশেষ পরিস্থিতিতে আটকে পড়াদের জন্য মানবিক কারণে এই উদ্যোগে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিয়েছেন।
ভারত সরকার ঘোষিত লকডাউন আগামী ৩ মে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন রাজ্য এই সময়সীমা বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাব করেছেন বিধায় বিমান/রেল/গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বিলম্ব হতে পারে। তাই যে সকল যাত্রী বিভিন্ন কারণে সড়কপথে দেশে ফিরতে চান, তাদের সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছানোর অনুমতির জন্য বাংলাদেশ হাই কমিশন ভারত সরকারের সাথে আলোচনা করেছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও রোগীদের ক্ষেত্রে সড়কপথে ভ্রমণে চিকিৎসকের অনুমতি গ্রহণসহ নিয়মানুযায়ী অন্যান্য শর্তপালন সাপেক্ষে বাসযোগে ভ্রমণের অনুমোদন প্রাপ্তির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে গন্তব্যের দূরত্ব এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের বিষয় বিবেচনা করে বর্তমানে কোন ছোট যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকতে পারে।
কোন প্রতিষ্ঠিত বা নিবন্ধিত পরিবহন সংস্থার পক্ষ থেকে সড়কপথে ভ্রমণের জন্য যাত্রীদের তালিকা, যানবাহন ও চালকদের বিবরণ, ভ্রমণপথের বর্ণনা, যাত্রারম্ভ, পথিমধ্যে যাত্রাবিরতি ও গন্তব্যে পৌঁছানোর সম্ভাব্য সময়সহ বিস্তারিত তথ্যাদি পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ভারতীয় কর্তৃপক্ষের নিকট প্রয়োজনীয় অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব প্রেরণ করা হবে।
যে সকল বাংলাদেশি সড়কপথে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক তারা সহযাত্রীদের সঙ্গে সমন্বয় করে ভ্রমণের জন্য প্রতিষ্ঠিত/নিবন্ধিত পরিবহন সংস্থার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি প্রেরণ করলে হাই কমিশন ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
উল্লেখ্য, প্রত্যেক যাত্রীর অবশ্যই ‘কভিড- ১৯ মুক্ত’ বা ‘কভিড-১৯ উপসর্গমুক্ত’ সনদ থাকতে হবে। সকল যাত্রীকে বাংলাদেশে প্রবেশের পর পুনরায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে এবং বাধ্যতামূলকভাবে ২ সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।