কামাল মেহেদী ।। প্রবাসের যান্ত্রিক ব্যস্ততা কিংবা বিত্তবৈভবের আশায় চলমান ম্যারাথনে একটু ফুরসত পেলে কে না চায় তার শৈশবে ফিরে যেতে, কে না চায় শেকড়ের ঘ্রান নিতে। চ্যানেল এসের পর্দায় পেছনে ফেলে আসা শৈশবের স্মৃতি মাধুর্যে ভরা সবুজে ঘেরা মেঠপথের এই আমাদের গ্রাম কিংবা ছোটগলির চিরচেনা সেই হাটবাজারের শতভাগ অর্গানিক শাকসব্জি এবং পুকুর বা মরা নদী থেকে এই মাত্র তোলা আইসমুক্ত নানা প্রজাতির মাছের ঘ্রাণ যেনো ভেসে উঠে চ্যানেল এসের পর্দায়, সমাজ এবং কমিউনিটির নানা অসঙ্গতি নিয়ে সত্য বলার সাহসী উচ্চারণ রিয়েলিটি উইথ মাহি, প্রায় ৫০ বছর বয়সী এক স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক অসঙ্গতি নিয়ে সরগরম অভিমত কিংবা প্রবাসের বা দেশের, ইউকে বা ইউরোপের, আমেরিকার বা এশিয়ার বিশেষ চিত্র যখন ভেসে উঠে চ্যানেল এস সংবাদে…বসার ঘরে চ্যানেল এসের পর্দায় এসব চোখে পড়ার পর এক মুহুর্তের জন্য যান্ত্রিক জীবনের ম্যারাথন থামাননি এমন বাঙালী এই প্রবাসে খুঁজে পাওয়া মুশকিল হবে।
ওয়ার্কিং ফর দয়া কমিউনিটি- এই শ্লোগান নিয়ে শেকড় প্রিয় স্বাপ্নিক মাহি ফেরদৌস জলিলের হাত ধরে যাত্রা শুরু করে সোমবার ১৫ বছর পুর্তি করবে চ্যানেল এস। ব্যক্তিগত জীবনে নানা ঝড়-ঝাপটার মধ্যেও নিজের সন্তানের মতোই চ্যানেল এসকে আগলে রেখেছেন তিনি। নিজের সন্তানদের মতো চ্যানেল এসকে নিয়েও প্রতিমুহুর্তে স্বপ্ন দেখেন তিনি। চার দেয়ালের একটি স্টুডিও থেকে চ্যানেল এসের পর্দায়-ই শুধু নয়, দেয়ালে দেয়ালেও তিনি শেকড়ের স্বাদ দিতে চান।
চ্যানেল এস ভবনের একেকটি দেয়াল হয়ে উঠবে বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের সংক্ষিপ্ত অধ্যায়, এই ধারনা এবং স্বপ্ন মনে পোষন করেই শুরু করেছিলেন নতুন ভবনের কাজ। ধীরে ধীরে তারই বাস্তব রূপ নিয়েছে এবার।
ব্রিটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথকে সঙ্গে নিয়ে রাখা হয়েছে বাঙালি জাতির পিতা, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে।
আছেন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল আতাউল গনি ওসমানি, মুক্তিযুদ্ধের সব সেক্টর কমান্ডার, স্মৃতিসৌধ, শহীদ মিনার অর্থাৎ ইংরেজিতে সংক্ষিপ্ত তথ্যমালা আর ফট্রোগ্রাফি থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে-সেরা ফুল, ফল, পাখি, কবি, মরমী শিল্পী, সবকিছুর একটি ধারনা পাবেন চ্যানেল এস ভবনের দেয়ালে দেয়ালে।
বাংলা, ইংরেজি ছাড়া নাগরি লিপির উপস্থিতিও আছে এখানে। এর নাম দিয়েছেন তিনি, চ্যানেল এস স্কয়ার।
চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি
শেকড় সন্ধানী মাহি ফেরদৌস জানালেন, পর্যায়ক্রমে এর পরিধি বাড়ানো হবে। স্টুডিওর প্রতিটি দেয়াল হবে একেকটি ইতিহাসে অধ্যায়। ইংরেজি বাংলায় থাকবে সব তথ্য বিবরন।
বিলেত তথা প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মকে আহ্বান করে চ্যানেল এস স্কয়ারে নিয়ে আসা হবে বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে জানার জন্য।
মিডিয়ায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে কমিউনিটির শীর্ষ একটি সংগঠন সম্প্রতি সম্মাননা এওয়ার্ড প্রদান করে মাহি ফেরদৌস জলিলকে
১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসের দিনে বিজয় দিবসের পাশাপাশি পালন করা হয় চ্যানেল এসের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। এই দিনটিকে সামনে রেখে নিজে সরাসরি নির্দেশনা দিয়ে একদল দক্ষ টিম নিয়ে চ্যানেল এস স্কয়ার গড়ছেন শেকড় সন্ধানী মাহি ফেরদৌস জলিল। বিজয় দিবস এবং চ্যানেল এসের বর্ষপূর্তির দিন থেকে চ্যানেল এস স্কয়ার উন্মোক্ত করে দেওয়া হবে সবার জন্য।