ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের নকআউট পর্ব পার হতে পারলো না বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল। রোনালদোরকে বিদায় করে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বেলজিয়াম। যদিও শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার লড়াইয়ে গোলের সুযোগ নষ্ট করার খেসারত দিতে হয়েছে পর্তুগালকে। প্রায় ৫৭ শতাংশ সময় বল দখলে ছিল তাদের। ফ্রি কিক মিস করেন গোলের বিশ্ব রেকর্ডধারী রোনালদো।সেভিয়ার লা কার্তুহায় রোববার (২৭ জুন) রাতে শেষ ষোলোর ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছে বেলজিয়াম। খেলার ধারার বিপরীতে বিরতির খানিক আগে দূরপাল্লার শটে গোলটি করেন তোরগান।প্রথমার্ধে বল দখলে সমতা থাকলেও আক্রমণে এগিয়ে ছিল পর্তুগাল। প্রথম ৪০ মিনিটে যে কয়েকটি হাফ-চান্স তৈরি হয়েছে, তার সবগুলোই পর্তুগিজদের। ২৫তম মিনিটে বক্সের বাইরে ভারমায়েলেনের হ্যান্ডবলে ফ্রি কিক পায় পর্তুগাল। ফ্রি কিক নেন রোনালদো। তার ফ্রি কিক ঝাঁপিয়ে ফেরান বেলজিয়ান গোলরক্ষক।
৪২তম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য আক্রমণে যায় বেলজিয়াম। তমা মুনিয়ের পাস ডি-বক্সের বেশ বাইরে পেয়ে একটুখানি আড়াআড়ি এগিয়ে বুলেট গতির শট নেন তোরগান। শেষ মুহূর্তে সামান্য বাঁক খেয়ে বল পতুর্গালের গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেয়। ১ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় পর্তুগাল।দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে পর্তুগাল। কয়েকটি সুযোগও তৈরি করেছিল তারা। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। বেলজিয়ামের গোলরক্ষক দারুণ সব সেভে লিড ধরে রাখেন। ৫৯ মিনিটে রোনালদোর পাস থেকে জোতার শট ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়। দুই মিনিট পর রেনেতোর পাস থেকে জোয়াও ফেলিক্সের শট সহজে রুখে দেন কোর্তোয়া।
৭০-৮০ এই ১০ মিনিটে কয়েকটি ফাউলের ঘটনায় ম্যাচে উত্তেজনা ছড়ায়। পর্তুগালের এক ও বেলজিয়ামের দুজন হলুদ কার্ডও দেখেন। পরপর দুই মিনিটে দারুণ দুটি সুযোগ পায় পর্তুগাল। তবে রুবেন দিয়াসের হেড গোলরক্ষক ফেরানোর পর রাফায়েল গেররেরোর শট বাধা পায় পোস্টে।বাকি সময়েও একচেটিয়া চাপ ধরে রাখে পর্তুগাল। সম্ভাবনাও জাগে, এই বুঝি হলো গোল। তবে রক্ষণ জমাট রেখে জয় নিশ্চিত করে রবের্তো মার্তিনেসের দল।বড় টুর্নামেন্টে প্রথম দেখায় বেলজিয়ামের ধাক্কা সামলাতে পারলো না পর্তুগাল। ১৯৮৯ সালের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে হারের পর সব ধরনের প্রতিযোগিতায় টানা পাঁচ ম্যাচ অপরাজিত তারা। এবারের দেখায় সেই মর্যাদা হারালো তারা।আগামী শুক্রবার সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ইতালির মুখোমুখি হবে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল বেলজিয়াম।