কোরবানি ঈদে কারখানা ছুটির আগের দিনই শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে হবে কারখানা মালিকদের। বেতন-বোনাস পরিশোধে ব্যর্থ হলে আইনের আশ্রয় নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।মঙ্গলবার আরএমজি (তৈরি পোশাক) বিষয়ক মালিক-শ্রমিক ও সরকার ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (টিসিসি) বৈঠকে এ কথা বলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী।বৈঠকে সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান, শ্রম সচিব কে এম আব্দুস সালাম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দীন আহমেদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গৌতম কুমার, বাংলাদেশ এমপ্লোয়ার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, সহ-সভাপতি মো. নাছির উদ্দিন, বিকেএমইএর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নান, ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান, শ্রমিক নেতা সিরাজুল ইসলাম রনি, নাজমা আক্তারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বিভাগ সংস্থার কর্মকর্তা, মালিক-শ্রমিকদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এর আগে মন্ত্রণালয় নিজ উদ্যোগে শ্রমিকের বেতন-বোনাস আদায় করেছে। এবার বেতন দেয়া শুরু হয়েছে, অধিকাংশ কারখানাই বেতন দিয়েছেন শ্রমিকদের। বোনাসও দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। তবে এখনো কিছু কারখানা বাকি আছে যারা শ্রমিকদের বেতন-বোনাস আটকে রেখেছেন। তাদের বলছি, সর্বোচ্চ ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে বেতন-বোনাস পরিশোধ করবেন। এর পরেই মালিকপক্ষ কারখানা ছুটি দেবে।কারখানায় ছুটি ও পরবর্তী বন্ধ বিষয়ে তিনি বলেন, এবারের কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা অন্যবারের চেয়ে ভয়াবহ। এর আগে মৃত্যু ও আক্রান্ত কম ছিল, এবার তা ভয়াবহ আকার নিয়েছে। এ অবস্থায় এবারের ঈদে কারখানার শ্রমিকরা বাড়িতে যাবেন বলেই মনে হচ্ছে।বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের অনেক ছোট ও মাঝারী কারখানা আছে, সবার অবস্থা একরকম না। অনেকেই বেতন দিতে পারবেন কিন্তু বোনাস দিতে কষ্ট হয়। এরপরও তারা বোনাস পরিশোধ করেন।বিকেএমইএ’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আমরা কষ্ট করে মহামারির মধ্যে বেতন-বোনাস দিচ্ছি। এ অবস্থায় অতিরিক্ত বেতন কীভাবে হবে।ছুটির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সরকারের যে কোনো সিদ্ধান্ত মেনে নিতে চাই। সরকার যা চাইবে আমরা তা মেনে নেবো।