জঙ্গি হামলার পর ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পুলওয়ামা

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: উন্নতির ছোঁয়া লেগেছে ভারতশাসিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায়। জঙ্গি হামলার পর বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতি করছে কাশ্মীরের ওই অঞ্চলটি। বিশেষত শিক্ষায় স্থানীয়দের কৃতিত্ব নজর কেড়েছে। খেলাধুলা ও উৎপাদনের ক্ষেত্রেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে অঞ্চলটি।

পুলওয়ামার বাসিন্দা বাসিত আহমেদ খান ভারতের ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রেন্স টেস্ট (এনইইটি) সফলতার সঙ্গে পাস করেছেন। তিনি প্রবেশিকা পরীক্ষায় ১৮৮তম স্থান দখল করেন। ২০২০ সালের পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, বাসিত ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৬৯৫ পেয়েছেন।

শুধু বাসিতই নয়, এনইইটির প্রবেশিকা পরীক্ষায় ভালো করেছেন পুলওয়ামার সুহেল মকবুল, ফয়জান হামেদ ভাট, সৈয়দ রইফ হামিদরা। তারা সফলতার সঙ্গ প্রবেশিকা পরীক্ষা পাস করেছেন। আরো এক পুলওয়ামার বাসিন্দা ওয়াইস নাজির দার। তিনি পুলওয়ামা জেলা থেকে ভারতের জাতীয় স্তরের পরীক্ষা এএমই সিইটি (এয়ারক্রাফ্ট মেনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারিং কমন এন্ট্রান্স টেস্ট) পাস করেছেন।

পুলওয়ামার মীর মহসিন নামের এক শিক্ষার্থী কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় পদার্থবিজ্ঞানে শীর্ষস্থান দখল করেন। শিক্ষা ক্ষেত্র ছাড়াও খেলাধুলায়ও ভালো করছে পুলওয়ামার বাসিন্দারা। তরুণ ক্রিকেটার উমির নাজির আইপিএল ২০২০-এর টুর্নামেন্টে দিল্লির হয়ে নেট বোলার নির্বাচিত হন।

অঞ্চলটিতে উৎপাদন ব্যবস্থার গতি বাড়াতেও নজর দিচ্ছে ভারত সরকার। স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, অঞ্চলটি শিগগিরই দেশের পেন্সিল স্লেট উৎপাদনের কেন্দ্রবিন্দু হবে। এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলওয়ামায় নরম স্লেটের পেন্সিল তৈরি করা হচ্ছে। ভারতের বড় বড় পেন্সিল তৈরির কম্পানিগুলো এখন পুলওয়ামার কাছ থেকে তাদের স্লেট সংগ্রহ করছে।

কাশ্মীরে প্রথম ব্যবসা শুরু করা ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মনজুর আহমদ এলাহী। তিনি ২০১০ সাল থেকে ব্যবসা শুরু করেন কাশ্মীরে। তিনি বলেন, প্রথমে ব্লক তৈরি করে পরে স্লেট তৈরির জন্য মেশিন পেয়েছি। এর জন্য পোপলার কাঠ ব্যবহার করা হয়। এটি কাশ্মীরে প্রচুর পরিমাণে জন্মে। তিনি আরো বলেন, আমার কারখানায় প্রায় দেড়শতাধিক কর্মচারী; নারী-পুরুষ উভয়ই কাজ করছেন।

পুলওয়ামার জেলা শিল্প কেন্দ্রের (ডিআইসি) মহাব্যবস্থাপক জহুর মাগরে বলেছেন, পুলওয়ামা জেলায় ১৭টি স্লেট পেন্সিল কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে ১১টি সংগঠিত খাতে আর ৬টি অসংগঠিত খাতে। তিনি বলেন, আমি যদি পুরো দেশের বিবরণ দিই; তাহলে বলব ৯০ শতাংশ স্লেট সরবরাহ করা হয় কাশ্মীর উপত্যকা থেকে। আর ৮০ শতাংশ কাঁচামাল পুলওয়ামা থেকে সরবরাহ করা হয়।

Advertisement