ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: জনগণের উত্তাল তরঙ্গে সরকার টিকে থাকতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, একটু আগে খবর পেলাম, আমাদের উত্তরার তুরাগ থানার সভাপতি-সম্পাদক তাদেরকে গতকাল হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বের হওয়ার পথে সাদা পোশাকে পুলিশেরা তুলে নিয়ে গেছে, এখনও ওদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এটা অহরহ ঘটছে এখন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায়ে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অংশ নিয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজকে বন্দি, আমাদের তরুন সম্ভবনাময় নেতা তিনি নির্যাতিত হয়ে মিথ্যা মামলায় বিদেশে অবস্থান করছেন। আমাদের লক্ষ লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ৩৫ লক্ষ্যের ওপরে, গুম হয়ে গেছেন আমাদের প্রায় ৫‘শর উপরে নেতাকর্মী এবং নিহত হয়েছেন সহাস্রাধিক এবং গত কয়েকদিন আবারো গুম হয়েছেন ৩/৪ জন।
তিনি বলেন, গতকাল দুপুর ১টার দিকে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বের হওয়ার পর সাদা পোষাকে পুলিশ তুরাগ থানা যুব দলের সাধারণ সম্পাদক মামুন পারভেজ তন্ময় ও সহসভাপতি তৌহিদুলি ইসলাম হাসিবকে তুলে নিয়ে যায়। উত্তরার পশ্চিম থানা যুব দলের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস মজুমদার মাসুমকে গত রাত সাড়ে ৭টায় উত্তরা ৫ নং সেক্টার থেকে ধরে নিয়ে যায় তার সাদা পোষাকে সদস্যরা, পল্টন থানা যুব দলের যুগ্ম সম্পাদক লিয়ন হক বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে। এদের কাউকে এখনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এখন দেশে প্রকৃতপক্ষে কোনো সরকার আছে বলে মনে হয় না। এই সময়ে সুশাসন দূরের কথা এখানে শাসন বলতে কিছু নেই।
তিনি আরো বলেন, প্রতি পত্র-পত্রিকার ক্ষমতাসীনদের দুর্নীতির খবর আসছে। ভয়াবহ দুর্নীতি, হাজার হাজার কোটি টাকা পাঁচার হয়ে যাচ্ছে। সেদিকে কোনও খেয়াল নেই, দুই-একটা চুনোপুটিদের ধরে জনগনকে বিভ্রান্ত করছে।
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম ও উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরামের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
ব্যারিস্টার মীর হেলালের সভাপতিত্বে ও এম সাব্বির আহমেদের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির বিশেষ সম্পাদক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, এনামুল হক চৌধুরী, সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের গোলাম সারোয়ার, ছাত্রদলের নাজমুল হাসান, মিজানুর রহমান শরীফ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।