ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ধামরাইয়ে ক্রিকেট খেলার সময় শিশুদের পায়ের আঘাতে আহত হয় একটি মুরগি। পরে মুরগিটিকে তারা জবাই করে ফেলে। এই ঘটনায় মুরগির মালিক দুই শিশুকে গাছে বেঁধে মারপিট করে আহত করেছেন। পরে তাদের উদ্ধার করতে যায় এক শিশুর নানা ৭৭ বছর বয়সী জালাল উদ্দিন। তাকেও মারপিট করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলো, উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের দেপাশাই গ্রামের আউলাদ হোসেনের ছেলে হেলাল উদ্দিন (১১) ও আবদুস সালামের ছেলে পারভেজ (১৩)। এই ঘটনায় আজ শুক্রবার থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বিকেলে নিজেদের বাড়িতে হেলাল ও পারভেজ ক্রিকেট খেলছিল। এসময় প্রতিবেশী সামসুল বেপারীর একটি মুরগি হেলালের পায়ের নিচে পড়ে যায়। এতে মুরগিটি মাটিতে লুটে পড়ে। পরে তারা ওই মুরগিটি জবাই করে নিজেদের ফ্রিজে রেখে দেয়। এ ঘটনায় জানতে পেরে বুধবার হেলাল ও পারভেজকে ধরে সামসুল বেপারী ও তার ছেলে টিপু গাছে বেঁধে মারপিট করতে থাকে। এমন অবস্থায় হেলালের নানা হাজী জালাল উদ্দিন (৭৭) তাদের উদ্ধার করতে যান। এসময় তাকেও সামসুল বেপারী মারধর করেন। হেলাল ও পারভেজের চিৎকারে প্রতিবেশীরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে এই ঘটনায় আজ শুক্রবার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জালাল উদ্দিন।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত সামসুল বেপারী বলেন, ক্রিকেট খেলার বিষয়টি মিথ্যা কথা। হেলাল ও পারভেজ আমার মুরগি চুরি করার পর জবাই করে তাদের ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল। এই ঘটনায় তাদের মারধর করা হয়েছে। যা সত্য তাই বলছি।
ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিপন আহম্মেদ বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর হাসপাতালে গিয়েছিলাম। তাতে দুই শিশুকে গাছে বেঁধে মারধর করা হয়েছে বলে আহতরা অভিযোগ করেছে। এলাকায় গিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।