জম্মু মুক্ত, কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা বহাল

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: জম্মু ও কাশ্মীরের জম্মু অঞ্চলের নেতাদের মুক্ত করে দিয়েছে ভারত সরকার। একই সঙ্গে সেখান থেকে সবধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে। আসন্ন স্থানীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এখনও বহাল রয়েছে কাশ্মীর অঞ্চলের নিষেধাজ্ঞা। সেখানকার নেতাদেরও মুক্তি মেলেনি গৃহবন্দিত্ব থেকে।

গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে দেশটির সরকার। সেইসাথে জম্মু ও কাশ্মীরকে আলাদা করে কেন্দ্রশাসিত দুটি অঞ্চলে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় ক্ষমতাসীন বিজেপি। এ অবস্থায় যে কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে জম্মু ও কাশ্মীরের নেতাদের আটক করা হয়। ৫৬ দিন ধরে অবরুদ্ধ ছিল পুরো রাজ্য। অবশেষে ৫৭ তম দিনে এসে জম্মুর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হলেও কাশ্মীরের পরিস্থিতি আগের মতোই আছে। সেখানকার রাজনৈতিক নেতারা হয় আটক, নয়তো গৃহবন্দি রয়েছেন। সরকারি সূত্রমতে, কয়েকদিন আগেই ব্লক উন্নয়ন কাউন্সিলের নির্বাচনের ঘোষণা করেছে সরকার। নির্বাচনকে সামনে রেখে তাই জম্মুর নেতাদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে।

জম্মুতে গৃহবন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত রাজনৈতিক নেতারা হলেন দেবেন্দ্র সিংহ রানা, রমন ভাল্লা, হর্ষদেব সিংহ, চৌধুরীলাল সিংহ, ভিকার রসুল, জাভেদ রানা, সুরজিৎ সিংহ স্লাথিয়া ও সাজ্জাদ আহমেদ কিচলু। সূত্র জানায়, জম্মু এখন শান্ত। সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরের প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা নির্বাচনের কথা ঘোষণা করার পরই রাজনৈতিক নেতাদের উপরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

৩৭০ ধারা বাতিলের পর জম্মু ও কাশ্মীরের প্রায় ৪০০ রাজনৈতিক নেতাকে গৃহবন্দি করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় অনেককে। তাদের মধ্যে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লা, ফারুক আবদুল্লাও রয়েছেন। জম্মুর নেতাদের মুক্তি মিললেও কাশ্মীরের নেতারা মুক্তি পাননি এখনও। ৫৭ দিন ধরে কাশ্মীর উপত্যকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন। নেই ইন্টারনেট পরিষেবাও।

গত আগস্টে মেহবুবা মুফতির কন্যা সানা লিটজিয়া জাভেদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানান, তিনি তার মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত। মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না তিনি। লিটজিয়া অভিযোগ করেন, ‘কাশ্মীরে মানুষকে পশুর মতো খাঁচাবন্দি করে রাখা হয়েছে। সাধারণ মানবাধিকার পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না।’

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আন্তর্জাতিক মহলও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা বন্দীদের রিপোর্ট সম্পর্কে ওয়াকিবহাল রয়েছে। আগামী ২৪ অক্টোবর ৩০০টি ব্লক উন্নয়ন কাউন্সিলের নির্বাচন। সেদিনই গণনা হবে। ২৬,০০০ পঞ্চায়েত সদস্য ভোট দেবেন।

Advertisement