এর আগে জর্জিয়ার গভর্নর জানান, তিনি আইন অনুসরণের মধ্য দিয়ে বাইডেনের পক্ষে রাজ্যের ১৬টি ইলেক্টোরাল ভোট প্রদানের সনদ প্রত্যায়িত করতে চলেছেন।
জর্জিয়ার রিপাবলিকান সেক্রেটারি অব ষ্টেট ব্র্যাড রাফেন্সপ্যারগার তার নিজ দলের সঙ্গে গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে যতটা ধৈর্য ও উদ্দ্যম নিয়ে নীতি নৈতিকতার পক্ষে বিরতিহীন লড়াই চালিয়ে গেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তার ও তার পরিবারের উপর এসেছে হত্যার হুমকি। একদিকে মার্কিন সিনেটের অন্যতম প্রভাবশালী সিনেটের ও সিনেটে জুডিশিয়ারী কমিটির চেয়ারপারম্যান লিন্ডসে গ্রাহামের যেকোন ভাবে হলে জর্জিয়ায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে জিতিয়ে আনতে ব্যক্তিগত ফোন কল এবং রাজ্যের দুই ক্ষমতাসীন সিনেটার ডেভিড প্রিডু ও কেলী ল্যফলারসহ স্থানীয় রিপাবলিকানদের পদত্যাগের চাপ, অন্যদিকে স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্রমাগত টুইটের প্রেসার কোনকিছুই এই কর্তব্যনিষ্ঠ অকুতোভয় মানুষটিকে তার দায়িত্ববোধ থেকে একচুলও নড়াতে পারেনি।
আজ চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার প্রাক্কালে রাফেন্সপ্যারগার বলেন, আমি নিজে একজন ট্রাম্প সমর্থক। কিন্তু আমি যে মহান দায়িত্ব পালন করছি সেটা এই রাজ্যের মানুষের জন আকাঙ্খার বিষয়।
আমি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব আমার জ্ঞান ও বিশ্বাস মতে নিরপেক্ষ ভাবে পালন করতে পেরেছি এজন্য ভাল লাগছে। তবে খারাপ লাগছে জর্জিয়ায়
ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেনকে বিজয়ী ঘোষণা করতে। কিন্তু এটাই গনতন্ত্র। জনগনের রায়কে আমাদের সকলের মেনে নেয়া এবং সম্মান জানানো উচিত।
জর্জিয়ায় দুই দফায় ভোট গনণা করা হয়। দ্বিতীয় দফায় ট্রাম্প ক্যাম্পের দাবির মুখে হাতে ভোট গনণা অনুষ্ঠিত হয়। এখানে ১২ হাজার ৬শ’ ৭০ ভোটের ব্যবধানে জো বাইডেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডনাল্ট ট্রাম্পকে পরাজিত করেন।
উল্লেখ্য, বিখ্যাত সিভিল রাইট নেতা মার্টিন লুথার কিং এই জর্জিয়ার আটলান্টায় ১৯২৯ সালের ১৫ই জানুয়ারি জন্মগ্রহন করেন।