জেমির চোখ এখন ওমানে

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ম্যাচের আগে ভারতীয় সাংবাদিকদের প্রশ্ন- বাংলাদেশকে কয় গোল দেবে ভারত? সুনীল ছেত্রী কি হ্যাটট্রিক করবেন? তারা ধরেই নিয়েছিল কলকাতায় বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে বাংলাদেশকে সহজেই হারাবে ভারত। তবে বাংলাদেশের কোচ জেমি ডে একটা কথা খুব জোর দিয়ে বলেছিলেন, ‘আমার ছেলেরা ছেড়ে কথা বলবে না।’ সত্যিই ভারতকে ছেড়ে কথা বলেনি বাংলাদেশ। প্রায়ই জিতেই গিয়েছিল জেমির শিষ্যরা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ড্র নিয়ে ফিরতে হচ্ছে। এ নিয়ে কিছুটা হতাশা তো আছেই জেমির। তবে তার চোখ এখন সামনে। আগামী ১৪ই নভেম্বর ওমানের মাঠে খেলবে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচ নিয়ে এখন ভাবতে চান জেমি।

ইংলিশ এই কোচ বলেন, ‘এখন আমাদের পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবতে হবে। ওমানের বিপক্ষে খেলা। ওই ম্যাচে এই পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে।’
ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ জয়ের স্বপ্ন দেখছে। তবে জেমি এ ব্যাপারে এখনই কিছু বলতে চাইছেন না। আগামী বছরের জুনে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ম্যাচ নিয়ে জেমি বলেন, ‘প্রত্যাশা তো বাড়বেই। ভবিষ্যতে আমরা ভালো খেলার চেষ্টা করবো, তবে ভারতের বিপক্ষে হোম ম্যাচ নিয়ে কিছু বলতে চাইছি না।’

কলকাতায় ভারতের গোলরক্ষকে তিন-চারবার একা পেয়েও গোল করতে পারেননি বাংলাদেশি ফরোয়ার্ডরা। আরেকটা গোল পেলেই জয় নিশ্চিত হয়ে যেতো, এমনটা বলেছেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও। তবে জেমি তার শিষ্যদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট। রাতে কেমন ঘুম হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ‘হ্যাঁ, বলতে পারেন। রাতে ভালো ঘুম হয়েছে। এই ম্যাচের পর ভালো ঘুম হওয়াই তো স্বাভাবিক। ছেলেরা দুর্দান্ত খেলেছে। ওদের ৭০ হাজার দর্শকের সামনে জয়টা প্রত্যাশা করিনি। র‌্যাঙ্কিংয়ে আমরা ৮৫ ধাপ (আসলে ৮৩ ধাপ) পিছিয়ে আছি। কঠোর পরিশ্রমের ফসল হিসেবে আমরা পয়েন্ট পেয়েছি। যা দারুণ ব্যাপার। তবে আর একটু হলে তো ৩ পয়েন্ট পেতে পারতাম। এজন্য খানিকটা হতাশাও লাগছে।’

ম্যাচে একটি নিশ্চিত পেনাল্টি পায়নি বাংলাদেশ। শুরুতেই লেফট উইঙ্গার ইব্রাহিমকে পেছন থেকে ফাউল করে নিজেদের ডিবক্সে ফেলে দিয়েছিলেন ভারতীয় এক ডিফেন্ডার। কিন্তু সিরিয়ান রেফারি ছিলেন নির্বিকার। জেমিকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। অন্যদিকে ভারতের কোচ ইগর স্তিমাচ মনে করেন, এ ম্যাচে জয় প্রাপ্য ছিল তার দলের। ক্রোয়েশিয়ান এই কোচ বলেন, ম্যাচের ফলে আমরা খুশি নই। জয় প্রাপ্য ছিল আমাদের। কারণ আমরা শেষ পর্যন্ত দাপট দেখিয়েছি। একটা বাজে গোল হজম করতে হলো যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

Advertisement