টাওয়ার হ্যামলেটসে মিনি জোন পার্কিং সিস্টেমে পরিবর্তন হচ্ছে না

মো: রেজাউল করিম মৃধা ॥ টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে মিনি-জোন সংক্রান্ত রেসিডেন্টস পার্কিংয়ে যে পরিবর্তন আনা হয়েছিলো, তা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ফুল-কাউন্সিল মিটিংয়ে কাউন্সিলারদের আপত্তির প্রেক্ষিতে তা আবারও পুনর্বিবেচনার জন্য কেবিনেটে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ফলে গত মাসে মিনি-জোন সংক্রান্ত জরিমানাগুলোও বাতিল করা হয়েছে। এটিকে প্রাথমিক বিজয় হিসেবে দেখছেন আন্দোলনকারীরা।

রেসিডেন্ট পার্কিংয়ের ক্ষেত্রে বাসিন্দাদের সাথে যথাযথ কনসালটেশন না করে নেয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৬ হাজারের  বেশি স্থানীয় বাসিন্দা পিটিশনে স্বাক্ষর করে। পিটিশিনের সূত্রে কাউন্সিলারদের আবেদনে ফুল-কাউন্সিল মিটিংয়ে আলোচনায় পার্কিংয়ের নতুন নিয়ম সংক্রান্ত সিদ্ধান্তটি স্থগিত করা হয়।

ফলে মিনি জোনগুলোতে আপাততঃ ৫ ঘণ্টা গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা বহাল থাকবে। ৩০ সেপ্টেম্বর বুধবার টাউন হলে অুনষ্ঠিত ফুল কাউন্সিল মিটিংয়ে নির্বাহী মেয়র জন বিগস এই ঘোষণা দেন। কনজার্ভেটিভ দলের কাউন্সিলার এন্ড্রু উডের উত্থাপিত মোশনের প্রেক্ষিতে মেয়র জন বিগস আগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন।

উল্লেখ্য, কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে এক মিনি জোন থেকে অন্য মিনি জোনে গিয়ে তিন ঘণ্টার বেশি সময় গাড়ি পার্ক করা যাবে না। অর্থাৎ যদি কারো মিনিজোন এ-১ এর রেসিডেন্ট পারমিট থাকে তাহলে তিনি মিনিজোন এ-২ তে গিয়ে তিন ঘন্টার বেশি সময় গাড়ি পার্ক করতে পারবেন না। এই আইন পয়লা অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিলো। সুতরাং, আগের আইন বহাল থাকায় মিনি জোন এ১ এর পারমিট হোলডার মিনি জোন এ২ বা এ৩ তে গিয়ে অন্তত ৫ ঘন্টা পর্যন্ত পার্ক করতে পারবেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দিনভর পার্ক করা যাবে।

এর আগে পার্কিং আইনের পরিবর্তের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ক্যানারী ওয়ার্ফ ওয়ার্ডের কনজার্ভেটিভ দলের কাউন্সিলর এন্ড্রু উড এবং মাইল এন্ড ওয়ার্ডের লেবার দলীয় কাউন্সিলার পুরু মিয়া ৫ আগস্ট ২ হাজার স্বাক্ষর সংগ্রহের লক্ষ্যে একটি অনলাইন পিটিশন চালু করেন। ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ হাজারের বেশি স্বাক্ষর সংগ্রহ করে পিটিশনটি কাউন্সিলের ডেমোক্রেটিক সার্ভিসে জমা দেয়া হয়। এই পিটিশনের প্রেক্ষিতে ৩০ সেপ্টেম্বর বুধবারের ফুল কাউন্সিল মিটিংয়ে কাউন্সিলার এন্ড্রু উড সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একটি মোশন উত্থাপন করেন। মোশনটি ফুল কাউন্সিল মিটিংয়ে উত্থাপনের পর পার্কিং আইনের পক্ষে-বিপক্ষে কাউন্সিলারদের মধ্যে ভোটাভুটি হওয়ার কথা থাকলেও জন বিগস ভোটাভুটিতে যাননি। তিনি সিদ্ধান্ত স্থগিত করে কেবিনেট মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানান।

এদিকে কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অন্যতম ক্যাম্পেইনার কাউন্সিলার পুরু মিয়া। তিনি স্বাধীন কমিশনের মাধ্যমে এসেসমেন্ট করার দাবী জানিয়েছেন।

অন্যদিকে কেবিনেট কিংবা ফুল-কাউন্সিল মিটিং ছাড়াই মেয়রের গৃহিত মিনি-জোনে পার্কিং সংক্রান্ত নিয়মটি বাসিন্দাদের সুবিধার কথা চিন্তা করেই স্থগিত হয়েছে বলে জানান লেবার দলীয় কাউন্সিলার এহতেশাম।

এখন দেখার বিষয় কাউন্সিলের বাসিন্দাদের দৈনন্দিন সুবিধা-অসুবিধা এবং বিশুদ্ধ বায়ূ ও স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনা করে পার্কিং নিয়ে কাউন্সিল ভারসাম্যপূর্ণ একটি নতুন সিদ্ধান্তে আসতে পারে কিনা।

Advertisement