টাওয়ার হ্যামলেটসে নাজিয়া আলি হত্যার দায়ে আনহার আলী অভিযুক্ত

ব্রিটবাংলা ডেস্ক : ইস্ট লন্ডনের বাঙালী অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসের বো এলাকার বাসিন্দা নাজিয়া আলীকে হত্যার দায়ে মোহাম্মদ আনহার আলীকে অভিযুক্ত করেছে আদালত।

মেট পুলিশ জানিয়েছে, ২৫ বছর বয়সী নাজিয়া আলীকে গত ২২ অক্টোবর সকালে বো এলাকার এলিসমেয়ার রোডের ঘর থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহে পুলিশ ৩২ বছর বয়সী মোহাম্মদ আনহার আলীকে গ্রেফতার করে। ওই দিন বিকেলেই নাজিয়া আলীর হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার দায়ে তাকে অভিযুক্ত করে পুলিশ। পরদিন ২৩ শে অক্টোবর তাকে থেমস ম্যাজিস্ট্রেইট কোর্টে হাজির করা হয়। আনহার আলী ইস্ট লন্ডনের বার্কিং এলাকার ব্ল্যাক এভিনিউর বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে।

গত ২৪ অক্টোবর নাজিয়া আলীর পোস্ট মর্টেম সম্পন্ন করার কথা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের ওয়েব সাইটে বলা হলেও পোর্স্ট মর্টেমের ফলাফল উল্লেখ করা হয়নি।

নাজিয়া আলীর বান্ধবীর স্বামীর ফেইসবুক স্ট্যাটাস

নাজিয়া আলী খুনের ব্যাপারে পুলিশ এর বেশি তথ্য প্রকাশ না করলেও তার বান্ধবীর স্বামীর ফেইসবুক স্ট্যাটাসে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। ফেইসবুকে তিনি উল্লেখ করেছেন, নাজিয়া আলী এবং মোহাম্মদ আনহার আলী স্বামী-স্ত্রী ছিলেন। তাদের ২ এবং ৫ বছরের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ে ভেঙ্গে যাবার পর তারা আলাদা বসবাস করেন। টাওয়ার হ্যামলেটসের রোমান রোডের একটি ঘরে দু কন্যা নিয়ে বসবাস করতেন নাজিয়া আলী। ঘটনার দিন সকালে কোমলমতি দু শিশু  ঘুমে ছিল। এ সময় কপি করা চাবি দিয়ে ঘরে প্রবেশ করেন আনহার আলী। আনহার আলী এখনো লিভ টু রিমেইন পাননি। ঘরে প্রবেশ করে তিনি লিভ টু রিমেইনের আবেদনের জন্যে সাবেক স্ত্রীকে চাপ দিতে থাকেন। নাজিয়া আলী তাতে অস্বীকৃতি জানানো পর কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার গলায় ওরনা পেছিয়ে তাকে হত্যা করেন আনহার আলী।  এরপর নিজেই পুলিশ ডেকে আত্মসমপর্ণ করেন বলে নাজিয়া আলীর বান্ধবীর স্বামীর ফেইস বুক স্ট্যাটাসে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ঘটনায় তারা সবাই মর্মাহত বলেও উল্লেখ করেন তিনি। নাজিয়া আলী সদাহাস্যজ্জল এবং বন্ধুবৎসল ছিলেন বলে ফেইসবুকে উল্লেখ করেন তার বান্ধবীর স্বামী।

Advertisement