দেশের ৮০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোনো প্রকার অর্থ ছাড়াই জনসাধারণকে এ টিকা দেওয়া হবে। এ জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী আরও টিকা কেনা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।শনিবার (৩ জুলাই) বাজেট অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।শেখ হাসিনা বলেন, বাজেটের মূল লক্ষ্য হলো করোনা মোকাবিলা করে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করা। একই সাথে পিছিয়ে থাকা মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় আনাও এবারের বাজেটের অন্যতম লক্ষ্য।এর আগে একই দিন বেলা ১১টার দিকে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ওই বৈঠক শুরু হয়।গত ৩০ জুন চলতি বছরের বাজেট পাস হওয়ার পর সংসদের বৈঠক মুলতবি করা হয়। ওই দিন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট পাস হয়।
এবারের বাজেটে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। এটি মোট জিডিপির ১৭ দশমিক পাঁচ শতাংশ। এরমধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা।গত অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্য অর্থবছরের কার্যাদি নির্বাহের জন্য সংযুক্ত তহবিল হতে অর্থ প্রদান ও নির্দিষ্টকরণের কর্তৃত্ব প্রদানের জন্য আনীত বিলটি (নির্দিষ্টকরণ বিল, ২০২১) পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।এর আগে গত ২৯ জুন শিল্পখাতে কালো টাকা বিনিয়োগে দেওয়ার ‘বিশেষ’ সুযোগ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য অর্থবিল পাস হয় জাতীয় সংসদে।উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত ২ জুন জাতীয় সংসদের ১৩তম ও বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। এর পরদিন সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করা হয়।