ব্রিটবাংলা ডেস্ক : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রধান উপদেষ্টা ডমিনিক কিউমেন শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করেছেন। শুক্রবার বিকেলে জনসম্মুখে নিজের মালপত্র নিয়ে টেন ডাউনিং স্ট্রীট থেকে বের হয়ে যান তিনি। এর আগে তার ঘনিষ্ট সহযোগি এবং প্রধানমন্ত্রীর গণসংযোগ কর্মকর্তা লি কেইন পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তিনি ডিসেম্বরে ডাউনিং স্ট্রীট ত্যাগ করবেন। তখন অবশ্য ডমিনিক বলেছিলেন, বছর শেষে তিনি নিজেও চলে যাবেন। প্রধানমন্ত্রীর বিতর্কিত এই উপদেষ্টা অবশ্য তার আগেই চূড়ান্তভাবে টেন ডাউনিং স্ট্রীট থেকে বের হয়ে যান। ওয়েস্ট মিনিষ্টারে অত্যন্ত প্রভাবশালী উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। বিভিন্ন উপদেশের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরিসের জন্যে ভালোর চাইতে শত্রুুই তৈরী করেছেন বেশি।
https://britbangla24.com/news/116921/
ডমিনিক ইউরোপ বিরোধী ক্যাম্পেইনার ছিলেন সেই শুরু থেকেই। ব্রিটেন ইইউরোপে প্রবেশের সময়েও এর বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন করেন তিনি। সর্বশেষ ইইউ রেফারেন্ডামে টেইক ব্যাক কন্ট্রোল ব্যাক শ্লোগানের মাধ্যমে ব্রেক্সিট ক্যাম্পেইনে পেছন থেকে বরিস জনসনের সঙ্গে কাজ করেন তিনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগের পর থেকে বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন ডমিনিক। ব্রেক্সিট ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া দলীয় এমপি এবং সরকারী শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে রূঢ় আচরণ করেন তিনি। এই ডমিনিকের পরামর্শেই প্রধানমন্ত্রী নো ডিল ব্রেক্সিটের জন্যে পার্লামেন্ট সাসপেন্ড করেছিলেন। নিজে টোরি পার্টির সদস্য না হলেও বরিস জনসনের নেতৃত্বে সর্বশেষ নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য এনে দেন কনজারভেটিভকে। বিশেষ করে উত্তর ইংল্যান্ডে লেবারের ঘাটিতে টোরির জয় নিশ্চিত করেন তিনি।
তবে করোনা মহামারীর কারণে দল এবং সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে সংস্কারের আর সময় পাননি ডমিনিক কিউমেন। বরং করোনা লকডাউনের বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে পাল্টা সরকারের জন্যে বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি করেন। এ কারণে তাকে বরখাস্তের দাবী উঠে। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন তিনি। এই বিতর্কের মাঝেও তার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর নিবরতায় দলীয় এমপিরাও ক্ষোব্ধ ছিলেন। শুক্রবার তার চলে যাওয়ায় অনেকেই খুশি হন।