ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: সুপ্রিম কোর্টের প্রয়াত বিচারপতি রুথ ব্যাডার গিন্সবার্গের শূন্য পদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি করে মনোনয়ন বা নিয়োগ দেয়ার যে উদ্যোগ নিয়েছেন ডনাল্ড ট্রাম্প, তাকে ক্ষমতার অপব্যবহার হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন জো বাইডেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরে ওই পদে মনোনয়ন বা নিয়োগ দেয়ার দাবি তার। কিন্তু শনিবার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আগামী সপ্তাহেই তিনি এই পদে মনোনয়ন দেবেন এবং তিনি হবেন একজন নারী। এতে ক্ষুব্ধ জো বাইডেন। আগামী ৩রা নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনে মুখোমুখি অবস্থানে ডনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন। তাতে বিচারপতি নিয়োগ দেয়া একটি নতুন ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
উল্লেখ্য, উদারপন্থি আইকন, নারীবাদী গিন্সবার্গ গত শুক্রবার ৮৭ বছর বয়সে মারা যান।
এরপরই তার শূন্য আসনে নিয়োগ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দ্রুত তার বাছাই করা কাউকে ওই পদে বসাতে চান। স্পষ্টতই তিনি হবেন তার মতাদর্শের। ফলে সুপ্রিম কোর্টে সংখ্যালঘুতে পরিণত হবে ডেমোক্রেটরা। এমনটা হলে এবং রিপাবলিকানরা ক্ষমতায় থাকলে তাতে বিপদে পড়ে যাবেন ডেমোক্রেটরা। আবার যদি নতুন নির্বাচনে ডেমোক্রেট সরকার ক্ষমতায় আসে, তাহলেও নতুন সরকারকে সামনে অগ্রসর হওয়া কঠিন হবে। কারণ, সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে তারা যেকোনো সিদ্ধান্ত আটকে দিতে বা অনুমোদন দিতে পারবেন। তবে ওই পদে কাউকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন জো বাইডেন। কিন্তু তা রাখছেন না ট্রাম্প। তাই রোববার ফিলাডেলফিয়ার কনস্টিটিউশনাল সেন্টারে দেয়া বক্তব্যে কঠিন সমালোচনার তীর ছুড়েছেন জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, সুস্পষ্টতই প্রেসিডেন্ট তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান মার্কিনিদের কথা শোনার সুযোগ দিয়েছে। তাদের কথা শুনতে হবে। তাদেরকে এ বিষয়ে পরিষ্কার করতে হবে। কিন্তু এই ক্ষমতার অপব্যবহারের পক্ষে থাকবে না জনগণ।
বাইডেন আরো বলেন, ওইসব সিনেট রিপাবলিকানদের প্রতি আমার আহ্বান, আপনার বিবেকের দিকে তাকান। মানুষকে কথা বলতে দিন। দেশে যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে তা নিবৃত করুন। সিনেটর ম্যাকনেল এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন, তার অধীনে কাউকে মনোনয়ন দেয়া হলে ভোট দিয়ে তাকে নিশ্চিত করবেন না। ভোটে যাবেন না।
ওদিকে নভেম্বরের নির্বাচন হওয়ার আগে পর্যন্ত এই মনোনয়ন বা ভোট প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন দু’জন রিপাবলিকান লিসা মুরকোওয়াস্কি এবং সুসান কলিন্স। যদি তাদের সঙ্গে আরো দু’জন রিপাবলিকান সিনেটর যোগ দেন তাহলে এই ভোট আটকে দিতে অথবা কমপক্ষে বিলম্বিত করাতে পারবেন। কারণ, সিনেটে মাত্র ৬ জন সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য আছে রিপাবলিকানদের।