যে কোনো ধরনের সুবিধার বিনিময়ে ডাইসন কোম্পানীকে করোনাকালে ভেনটিলেটর বানিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তবে সরকারের কাছে ডাইসনের দাবী ছিল এই প্রজেক্টে কাজের সময় স্টাফ এবং কোম্পানীকে স্বাভাবিক কর আরোপের আওতার বাইরে রাখার। এর জবাবে টোরি সমর্থক স্যার জেইমস টাইসনের সঙ্গে মোবাইল ট্যাক্সটের মাধ্যমে যা যা দরকার সব সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। গত বছরের মার্চে এই ট্যাক্সট আদান-প্রদান হয়। বুধবার পার্লামেন্টে এ নিয়ে তোপের মুখে পড়েন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। লেবার লিডার স্যার কিয়ার স্টারমারের প্রশ্নের জবাবে এ জন্যে জন্যে ক্ষমা চাইবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
হুভার নির্মান প্রতিষ্ঠান ডাইসনের মালিক হলেন কনজারভেটিভ পার্টি সমর্থক স্যার জেইমস ডাইসন। ব্রিটেনে উচ্চ হারের কর এড়াতে ২০১৯ সালে তিনি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ব্রিটেন থেকে সিঙ্গাপুরে স্থানান্তরিত করেন। গত বছরের মার্চে ডাইসনের সঙ্গে ভেনটিলেটর তৈরীর চুক্তি করেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। কিন্তু ব্রিটেনে ফিরে স্টাফরা ভেনটিলেটর তৈরীতে সময় দিলে ডাইসনের উপর সমান কর আরোপ না করতে ব্রিটিশ চ্যান্সেলারের কাছে একটি চিঠির লিখেন তিনি। চিঠির উত্তর না পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন স্যার জেইমস। এর জবাবে ট্যাক্সটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী জানান, কালকেই তা ঠিক হয়ে যাবে এরপর অন্য ট্যাক্সটে জানান, ঋষি অর্থাৎ চ্যান্সেলার ঋষি জানিয়েছেন এটা ঠিক হয়ে গেছে। এর পাল্টা জবাবে স্যার জেইমস চ্যান্সেলারের কাছ থেকে তার চিঠির উত্তর চান তিনি। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ট্রেজারির ফার্স্ট লর্ড এবং স্যার জেইমসের যা প্রয়োজন হবে। তাতে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে বলে নিশ্চিত করেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার পার্লামেন্টে এ নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখিন হন বরিস জনসন।
এদিকে স্যার জেইমস ডাইসন জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত ভেনটিলেটর তৈরীর প্রজেক্টে বিলেতে অবস্থান করে অন্তত ৪শ ৫০ জন স্টাফকে কাজ করেছিল এবং এতে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ২০ মিলিয়ন পাউন্ড। সিঙ্গাপুর থেকে ব্রিটেনে এসে কাজ করলে স্টাফ এবং কোম্পানীর উপর কর আরোপের বিষয়টি নিয়েই তিনি আলোচনা করতে চেয়েছিলেন বলে জানান স্যার জেইমস ডাইনস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকার ভেনটিলেটর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।