বর্তমান বিশ্বে আতঙ্কের নাম কেভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস। তাই ২৫ এপ্রিল বিশ্ব ডিএনএ দিবসে বাংলাদেশের জীবপ্রযুক্তিবিদরা করোনা মোকাবিলা নিয়ে তাদের কার্যক্রমের কথাই বললেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। আর এই যুদ্ধে দেশের অনেকের মতো কাজ করছেন অর্ধশতাধিক বায়োটেকনোলজিস্ট। কোন রকম স্বাস্থ্যবীমা কিংবা আর্থিক প্রণোদনা ছাড়াই দেশকে ভালোবেসে এই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে যাচ্ছে জীবপ্রযুক্তিবিদ যোদ্ধারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজির শিক্ষক ডঃ মুশতাক ইবনে আয়ূব বলেন, পুরো বাংলাদেশে কভিড-১৯ সনাক্তকরন ল্যাবে কাজ করছে অর্ধশতাধিক জীবপ্রযুক্তিবিদসহ দেশের বায়োটেকনোলজি সাবজেক্টের স্টুডেন্ট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন বায়োটেকনোলজি বিভাগ থেকে আটটি গবেষনামূলক কর্মকান্ড শেষ করেছে কভিড-১৯ নিয়ে। যা এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক জার্নালগুলোতে প্রকাশ করা হয়েছে।
তাছাড়া সরকারের কাছে করোনা প্রতিরোধে করনীয় নিয়ে ডিজিটাল সচেতনতা সৃষ্টি এবং করোনা মোকাবেলায় আরো কিছু কাজ করে যাচেছন বায়োটেকনোলজিস্টরা। যার মধ্যে রয়েছে, হ্যান্ড সানিটাইজার বানানো, স্বাস্থ্য সুরক্ষার পিপিই চিকিৎসক ও নার্সদের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজির শিক্ষক ডঃ আদনান মান্নান জানান, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষুদে গবেষকেরা কভিড-১৯ পরিস্থিতি জানার জন্য উদ্ভাবন করেছে এসব।
এছাড়া জীবপ্রযুক্তিবিদদের নেতৃত্বে তৈরি সংস্থা বায়োটেক কনসার্নের লাইফ সায়েন্স হেড ইখতিয়ার জাহিদ জানান, কভিড-১৯ সনাক্তকরন কেন্দ্রে লকডাউন উপেক্ষা করে কিট, রাসায়নিক দ্রব্য ও গবেষণা সহায়ক উপাদান পৌঁছে দিচ্ছে আমাদের কর্মীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি শিক্ষক ডঃ এসএম মাহবুবুর রশিদ বলেন, দেশে এই মুহুর্তে অক্সফোর্ড, ম্যানচেস্টার, ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন, ইতালির আইসিজিইবি, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন, কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়, মনাস বিশ্ববিদ্যালয়, জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় সহ খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান থেকে গবেষণার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বায়োটেকনোলজিস্টরা আছেন। তাদের জন্য জিনোম সিকুয়েন্সিং সহ বিভিন্ন গবেষনার পথ উন্মুক্ত করা ও পর্যাপ্ত সহযোগিতার ব্যবস্থা করা।
এ বিষয়ে বায়োটেকনোলজিস্টরা জানান, বাংলাদেশে গবেষণা ও শিক্ষকতার ক্ষেত্রগুলোতে বায়োটেকনোলজিস্টদের সুনির্দিষ্ট ভাবে অন্তর্ভুক্তি প্রয়োজন। যাতে দেশে এমন সময়গুলোতে সঠিক ভাবে তারা গবেষণা করতে পারেন। ও তাদের প্রস্তাবনাগুলো তুলে ধরতে পারেন।
তারা জানান, অক্সফোর্ড, ম্যানচেস্টার, ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন, ইতালির আইসিজিইবি, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন, কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়, মনাস বিশ্ববিদ্যালয়, জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় সহ খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান থেকে গবেষণার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বায়োটেকনোলজিস্টরা আছেন। তাই আমাদের ও এমন সুযোগ থাকা প্রয়োজন।
ডিএনএ দিবস ২০২০ : বাংলাদেশের জীবপ্রযুক্তিবিদরা কাজ করে যাচ্ছেন করোনা মোকাবিলায়
Advertisement