বিয়ানীবাজার পৌরসভার প্রথম মেয়র মো: আব্দুস শুকুরের সাথে শ্রীধরা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে এবং কসবা–খাসা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে’র উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন। ২৯ এপ্রিল রবিবার লন্ডন মুসলিম সেন্টারে শ্রীধরা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকের সভাপতি রফিক উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং কসবা–খাসা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকের সাধারণ সম্পাদক আলী বেবুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা আশুক আহমদ, রউফুল ইসলাম, আব্দুস শফিক, বাজিদুর রহমান, বাংলাদেশ সেন্টার লন্ডনের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, আলতা হোসেন, ছরকুম আলী সোনা, কসবা–খাসা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে’র সভাপতি হাফিজ নাজিম উদ্দিন, শ্রীধরা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে’র সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আহমদ, আহমেদ মোশতাক, এনাম উদ্দিন, বদরুল আলম, ফয়ছল উদ্দিন।
মতবিনিময় সভায় পৌর মেয়র মো: আব্দুস শুকুর বলেন, বিয়ানীবাজার পৌরসভা নির্বাচন আদায়ে প্রবাসীদের সাহায্য, সহযোগিতা ও সমর্থন ছিল উল্লেখ করার মতো। তিনি বলেন, আমি মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পেছনে প্রবাসীদের রয়েছে বিশাল অবদান। এজন্য প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রীনুরুল ইসলাম নাহিদের নির্দেশনায় বিয়ানীবাজার পৌরসভায় সামাজিক নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করার জন্য অচিরেই পৌর শহরকে সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হবে। শহরের গুরুত্বপূর্ন পয়েন্টে স্থাপন করা হবে সিসিটিভি ক্যামেরা। বিয়ানীবাজারের পুলিশ প্রসাশন ও পৌরসভা এসব সিসিটিভি সার্বক্ষণিক মনিটরিংকরবে। এর ফলে বিয়ানীবাজার পৌরসভার আইনশৃংঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হবে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে।প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে বিয়ানীবাজার পৌরসভা ভবনে ইতোমধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ডিজিটাল, আধুনিক ও উন্নত বিয়ানীবাজার পৌরসভা গঠনের জন্য আমার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। পৌর মেয়র বলেন, ১৭ বছরে বিয়ানীবাজার পৌর শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর শহরেরড্রেনেজগুলো সংস্কারের কাজে হাত দিয়েছি। পরিচ্ছন্ন একটি শহর গড়ে তোলার লক্ষ্যে ডাস্টবিন ব্যবস্থার প্রচলন শুরু করেছি। ইতোমধ্যে এ পৌরসভাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত করেছে এবং বিয়ানীবাজার পৌরসভার উন্নয়ন ও সংস্কার কাজের জন্য একটি টুইন ড্রাম রোড রোলার ও একটি স্কিট লোডার প্রদান করেছে। বিয়ানীবাজার পৌরসভার নির্বাচিত প্রথম মেয়র মো: আব্দুস শুকুর আরো বলেন, ব্যাপক উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার দৌঁড়ে থাকবে এখন বিয়ানীবাজার পৌরসভা। ২০১৭–১৮ অর্থবছরের জন্য প্রায় ৪৭ কোটি টাকার বাজেট ঘোষনা করা হয়েছে। এ বছর এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)’র সাহায্য পুষ্ট প্রকল্পের অধীনে পৌর এলাকার রাস্তাঘাট ও ড্রেনেজের উন্নয়নের জন্য ৪ কোটি টাকার টেন্ডার করা হয়েছে। ভূমিক্রয়সহ প্রায় ৫কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হবে পৌর বাস টারমিনাল। পৌরশহরের লাসাইতলা এলাকায় বাস টারমিনাল ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন করে জেলা প্রসাশনপৌরসভার নিকট হসতান্তর করেছে। পৌর এলাকার ৩টিগুরুত্বপূর্ণ স্থানে ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে টয়লেট স্থাপন এবং ২১লাখ টাকা ব্যয়ে পৌর এলাকার ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিপটিউবওয়েল স্থাপনের টেন্ডার করা হয়েছে। এলজিইডি’র আইইউডিপিতে ১০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প দাখিল করা হয়েছে।এছাড়া পৌর শহরের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য জলবায়ু প্রকল্পে ৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প মন্ত্রনালয়ে বিবেচনাধীন আছেন।
সভার শুরুতে পৌর মেয়রকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জাাননো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি
