ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা বিধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।’ সোমবার ঢাকায় বিআইসিসিতে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের সাইবার থ্রেট ডিটেকশন ও রেসপন্স প্রকল্প আয়োজিত ডিজিটাল বাংলাদেশ, ডিজিটাল সুরক্ষা শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ২২ হাজার পর্ণ সাইট এবং ২ হাজার জুয়ার সাইট বন্ধ করা হয়েছে। গুজবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল অপরাধ প্রতিহত করা হয়েছে। ডিজিটাল অপরাধ প্রতিরোধে সাইবার থ্রেট ডিটেকশন ও রেসপন্স প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জন করেছে। আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বিগত দিনে সীমিত সামর্থ দিয়েও তারা যে কাজ করেছে উন্নত বিশ্বেও তা পারেনি। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সচেষ্ট না হলে কী পরিমান সাইবার নৈরাজ্য হতো তা কল্পনাও করা যায় না।’
২০১৮ সালে প্রণীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একটি সময়োপযোগী আইন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সিঙ্গাপুরসহ ইউরোপের কিছু দেশ ডিজিটাল অপরাধ প্রতিহত করতে অনেক অনেক শক্ত আইন প্রণয়ন করেছে।’
এ সময় মোস্তাফা জব্বার অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইন্টারনেট হচ্ছে জ্ঞান ভান্ডার, তোমরা সারা দিন ইন্টারনেট ব্যবহার করবে তাতে আপত্তি নেই, তবে ইন্টারনেট নিরাপদ রাখতে সতর্ক থাকতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিংবা মেইল একাউন্ট দুই স্তরের ভেরিফিকেশন্স ব্যবহার করতে হবে। এটি নিশ্চিত করতে পারলে কেউ একাউন্ট হ্যাক করতে পারবে না। ডিজিটাল দুনিয়া অনেক ঝুকিপূর্ণ। স্পাম কখনো খুলবে না।’
সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব নূর-উর-রহমান, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহসিনুল আলম এবং প্রকল্প পরিচালক ও বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল মতিন বক্তৃতা করেন।