ডিজিটাল ভিসা সিস্টেম : ব্রিটেনে প্রবেশ এবং ত্যাগের সব তথ্য পাবে হোম অফিস

ব্রিটবাংলা ডেস্ক : অভিবাসী নিয়ন্ত্রণে এবার ব্রিটেনে মার্কিন স্টাইলে ডিজিটাল ভিসা সিস্টেম চালু করছেন হোম সেক্রেটারী প্রীতি পাটেল। মার্কিন স্টাইলে ইলেকট্রনিক ভিসা পদ্ধতিতে ব্রিটেন ভ্রমনকারীকে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার সাথে সাথে স্বয়ংক্রীয়ভাবে আগাম সতর্ক করবে। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ব্রিটেনে প্রবেশকারী এবং ব্রিটেন ত্যাগ করা অভিবাসীর সঠিক সংখ্যা জানা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন হোম সেক্রেটারী প্রীতি পাটেল।

ব্রিটিশ সীমান্তকে পুরোপুরি ডিজিটাল সিস্টেমের আওতায় নিয়ে আসার অংশ হিসেবে সোমবার ইলেক্ট্রনিক ট্র্যাভেল অথোরাইজেশন সিস্টেমের উদ্বোধন করবেন হোম সেক্রেটারী প্রীতি পাটেল। এরপর থেকে ভিসা নিয়ে বা ভিসা ছাড়া বিশেষ অভিবাসী মর্যাদায় ব্রিটেনে প্রবেশের সাথে সাথে অভিবাসীকে ইলেকট্রনিক ট্র্যাভেল অথোরাইজেশন সংক্ষেপন ইটিএ’র জন্যে রেজিস্টার করতে হবে।

বছরে অন্তত ৩০ মিলিয়ন ই-টি-এ’এর আবেদন পড়বে বলে আশা করছে হোম অফিস। ২০২৫ সাল থেকে সব অভিবাসীদের জন্যে ই-টি-এ বাধ্যতামূলক করা হবেও বলেও নিশ্চিত করেছে হোম অফিস।

২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত গত এক বছরে ব্রিটেনে প্রায় ১শ ৪৪ দশমিক ৭ মিলিয়ন যাত্রী ব্রিটেনে প্রবেশ করেছেন। এর মধ্যে ব্রিটিশ নাগরিকও রয়েছেন। যারা বিভিন্ন দেশ ভ্রমন শেষে বিলেতে ফেরেন। এসব যাত্রীদের মধ্যে অন্তত ৪০ মিলিয়ন হলেন ইইউভুক্ত বিভিন্ন দেশ এবং সুইটজারল্যান্ডের নাগরিক। বাকী ২০ মিলিয়ন বিশ্বের অন্যান্য দেশের নাগরিক। কিন্তু এসব অভিবাসী কে কোথায় এবং কতোদিন ধরে অবস্থান করছেন বা আসার কতোদিন পর ফেরত গেছেন তার কোনো হিসেব এখন নেই। নতুন সিস্টেমে সব হিসাব পাওয়া যাবে।

এদিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ত্যাগের পর অন্তত তিন মিলিয়ন ইইউভুক্ত দেশের নাগরিক ব্রিটেনে অবস্থান করছেন এবং ব্রিটেনে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্যে ইইউ স্যাটলমেন্ট স্কীমের অধিনে আবেদন করেন বলে প্রাথমিকভাবে বলা হলেও গত মাস পর্যন্ত এই আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৫ দশমিক ৪ মিলিয়ন। এর মধ্যে ৪ দশমিক ৯ মিলিয়ন আবেদনকারীকে ব্রিটেনে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

অভিবাসীদের জন্যে সীমান্তে কড়াকড়ির অংশ হিসেবে অবৈধ উপায়ে ইইউর কোনো দেশ থেকে কোনো অভিবাসী ব্রিটেনে প্রবেশের চেস্টা করলে তাকে ধরে ইইউর যে দেশ থেকে এসেছে সেই দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলও ঘোষণা দিয়েছেলে হোম সেক্রেটারী প্রীতি পাটেল। হোম সেক্রেটারীর এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে ইইউভুক্ত বিভিন্ন দেশ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

Advertisement