ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আগামী বছর নভেম্বরে। কিন্তু তার প্রায় দু’বছর আগে থেকেই নির্বাচনী কৌশল, কোন দল থেকে কে প্রার্থী হবেন- এসব নিয়ে নানা আলোচনা, পর্যালোচনা চলছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা তো তারও আগে থেকে নিজ নিজ কৌশল ব্যবহার করে রাজনীতির মাঠে। এই নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে দ্বিতীয় দফায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তার সামনে তুরুপের তাস কে ছুড়বেন ডেমোক্রেট দল থেকে তা এখনও নির্ধারিত হয় নি। মাঠে রয়েছেন বেশ কয়েকজন শক্তিধর রাজনীতিক। তবে এর আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যে ক্যারিশমা নিয়ে রাজনীতির মাঠে আবির্ভাব ঘটিয়েছিলেন, যেমন উন্মাদনা সৃষ্টি করেছিলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ফার্স্টলেডি হিলারি ক্লিনটন- এবারের প্রার্থীদের মধ্যে তেমন চমক দেখানোর কেউ নেই। এমন আলোচনা বিভিন্ন মিডিয়ায়।
এ অবস্থায় ‘বিপ্লবী’ ডেমোক্রেটদের সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে ইতিহাস সৃষ্টিকারী আফ্রিকান বংশোদ্ভূত প্রথম প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ডেমোক্রেট দল থেকে যেসব প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতার টিকেট পাওয়ার লড়াইয়ে রয়েছেন ওবামার সতর্কতা তাদের উদ্দেশে। বাস্তবতার মূলে নেই এমন পলিসি বা নীতির বিরুদ্ধে তিনি এমন সতর্কতা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি ডেমোক্রেটরা খুব বেশি বাম ঘরানার রাজনীতিতে জড়িত হয়ে পড়েন তাহলে ভোটারদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার ঝুঁকিতে থাকবেন। অর্থ সংগ্রহ সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। এতে তিনি বলেছেন, সিস্টেমটাকে ছিন্নভিন্ন করে ফেলা হোক এটা বেশিরভাগ ভোটার চায় না। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এখনও পর্যন্ত একজন ডেমোক্রেট দলীয় কৃষ্ণাঙ্গকে প্রকাশ্যে সমর্থন দেননি ওবামা। তার সামনে ডেমোক্রেটদের ১৮ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী। ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে ঘায়েল করে ক্ষমতায় বসতে যেন বিশাল এক গাদাগাদি অবস্থা ডেমোক্রেটদের মধ্যে। এর মধ্যে ফ্রন্টরানার হিসেবে আছেন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন, বার্নি স্যান্ডার্স, পিটি বুটিগিগ। সর্বশেষ পিটি বুটিগিগ হলেন ইন্ডিয়ানা রাজ্যের সাউথ বেন্ডের মেয়র। শুক্রবার ওয়াশিংটনে তহবিল সংগ্রহ সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ওবামা। তিনি ডেমোক্রেটদের সতর্ক করলেও কোনো একজন প্রার্থীর নাম উল্লেখ করেন নি। এ ছাড়া কোনো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনার সমালোচনা করেন নি। এর পরিবর্তে তিনি ডেমোক্রেটদের প্রতি আহ্বান জানান ভোটারদেরকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে মনোযোগ আকর্ষণ করতে। এর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা ও অভিবাসন।