
ব্রিটবাংলা রিপোর্ট : তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে নিতে বৃটিশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে বলে লন্ডনে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার লন্ডনে একটি সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বিস্ময় প্রকাশ করে প্রশ্ন রাখেন, একজন দন্ডিত ব্যক্তিকে ব্রিটিশ সরকার কিভাবে আশ্রয় দেয়, সেটাই বিস্ময়।
বুুধবার লন্ডনে কমনওয়েলথ সামিটে বেশ ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অংশ নিয়েছেন বেশ কয়েকটি সেমিনারে।
দিনের অপর এক সেমিনারে বাংলাদেশকে অন্যতম বিনিয়োগ বান্ধব রাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করে কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলনের তৃতীয় দিনে বিজনেস ফোরামের বিশ্ব নেতাদের সাথে বৈঠককালে এমন আহবান জানান। এ সময় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য তরুনদের কর্মক্ষম করে তুলতে তার সরকারের বিনিয়োগের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
বিজনেস ফোরামে এশিয়া নেতাদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এশিয়ার সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে শ্রম বাজার। এই অঞ্চলের মানব সম্পদকে কাজে লাগিয়ে প্রাকৃতিক সম্পদের উৎকৃষ্ট ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব। বিগত সাত বছরে ইউরোপ ও আমেরিকার অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে এশিয়ার অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারাবাহিকতা ছাড়িয়ে গেছে। এশিয়ার গড় জিডিপি বৃদ্ধির হার যেখানে ছিলো ৪.১ শতাংশ। সেখানে ইউরোপের ১.৮ শতাংশ অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিলো ২.৬ শতাংশ।
কমনওয়েলথ বিজনেস ফোরামের অপর এক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এশিয়ার মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশই তরুণ। এই তরুণদের কর্মক্ষম করে গড়ে তুলতে প্রযুক্তি সেবা নিশ্চিতে তার সরকারের বিনিয়োগের কথা উল্লেখ করেন তিনি। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ডিজিটাল আগ্রাসন থেকে রক্ষায় বিশ্ব নেতাদের সহযোগিতা কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।