ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: বাঙ্গালীর আবহমান সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটিয়ে শনিবার বাংলাদেশ দূতাবাস, আঙ্কারা কেচিওরান উদ্যানে পহেলা বৈশাখ ১৪২৫ উদযাপিত হয়েছে। উৎসবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসবেরও আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেচিওরান মিউনিসিপালিটি’র মেয়র মোস্তফা আক্। এছাড়াও আঙ্কারায় নিযুক্ত বিভিন্ন দূতাবাসের কূটনীতিক, সামরিক উপদেষ্টা, তুরস্কের উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজ ও প্রেস এর প্রতিনিধিসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীরা উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন।
আঙ্কারাস্থ কেচিওরান উদ্যানে পহেলা বৈশাখ” উদ্যাপন এবং এ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল তুরস্কে নিয়োজিত বিদেশী কূটনৈতিকবৃন্দ ও তুরস্কের জনসাধারণের কাছে বৈচিত্রময় বাঙ্গালী সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরা। বাঙ্গালী সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে দেশী-বিদেশী (বাংলাদেশী ১৪ জন ও তুর্কী ১৪ জন) শিশুশিল্পী সমন্বয়ে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর পরিচালক আনজির লিটন এর নেতৃত্বে ঢাকা থেকে আগত একাডেমীর সদস্যরা এতে অংশ নেয়। প্রথমে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী হতে আগত শিশুশিল্পীরা বাংলা নববর্ষ বিষয়ক বিভিন্ন নৃত্য পরিবেশনা করে যা আগত অতিথিসহ উপস্থিত সকলের বিশেষ মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। অতপরঃ তুরস্কের স্থানীয় শিল্পীরা বিভিন্ন ধরনের তুর্কী নৃত্য পরিবেশনা করে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালীন দূতাবাস উক্ত উদ্যানে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পটভূমি, বর্ণময় পহেলা বৈশাখ এবং চলমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়ণ কর্মসূচীর ওপর একটি আলোক চিত্রপ্রদর্শনীর আয়োজন করে।
উৎসবে তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. আল্লামা সিদ্দীকী বলেন, বাংলা নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব এবং এ উৎসব বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন তৈরি করে। আর বাঙ্গালীর ঐতিহ্যকে তুরস্কের জনসাধণের মাঝে ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ দূতাবাস, আঙ্কারা নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে মর্মে রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন। দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত বাংলা নববর্ষ įপহেলা বৈশাখ ১৪২৫ উদ্যাপনঅনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য আগত সকল বিদেশী অতিথি, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী দল, প্রবাসী বাংলাদেশী এবং উপস্থিত সকলের প্রতি রাষ্ট্রদূত ধন্যবাদ জ্ঞাপণ করেন এবং সকলকে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত এ পিঠা উৎসবে প্রায় ১০ প্রকারের বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পিঠা ছাড়াও বিভিন্ন প্রকারের বাঙ্গালী খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।