ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: থাইল্যান্ডে মঙ্গলবার গভীর রাতে দেশটির মুসলিমপ্রধান দক্ষিণাঞ্চলে গ্রাম প্রতিরক্ষা স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর একটি তল্লাশিচৌকিতে সন্দেহভাজন বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীদের হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
এতে ওই বাহিনীটির আরও চার সদস্য আহত হয়েছেন বলে বুধবার নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। খবর রয়টার্স ও আলজাজিরার।
হামলায় ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হয়েছেন। হাসপাতালে নেয়ার পর সেখানে চিকিৎসাধীন প্রাণ হারান আরও চারজন।
এ হামলাকে কয়েক বছরের মধ্যে থাইল্যান্ডে হওয়া সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলা বলে বর্ণনা করেছে কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণাঞ্চলীয় ইয়ালাপ্রদেশের এ ঘটনায় হামলাকারীরা বিস্ফোরকও ব্যবহার করেছে। পিছু নেয়া নিরাপত্তা বাহিনীকে নাস্তানাবুদ করতে হামলাকারীরা রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে তারকাঁটা ফেলে রেখে যায়।
নিরাপত্তা বাহিনীর আঞ্চলিক মুখপাত্র কর্নেল প্রমোত প্রমইন গণমাধ্যমকে বলেন, এটি সম্ভবত বিদ্রোহীদের কাজ। এটি সাম্প্রতিক সময়ে হওয়া অন্যতম বড় হামলা।
বৌদ্ধপ্রধান থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় মালয়-মুসলিমপ্রধান প্রদেশ- ইয়ালা, পাত্তানি ও নারাথিওয়াতে এক দশক ধরে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহ চলছে।
এখানে চলা সহিংসতা পর্যবেক্ষণকারী গোষ্ঠী ‘ডিপ সাউথ ওয়াচ’-এর তথ্যানুযায়ী, এই প্রদেশ তিনটিতে ২০০৪ সাল থেকে শুরু হওয়া সহিংসতায় এ পর্যন্ত প্রায় সাত হাজার লোক নিহত হয়েছেন।
এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি। একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছে বিদ্রোহীরা।
১৯০৯ সালে থাইল্যান্ডের দখলে চলে যাওয়ার আগে ইয়ালা, পাত্তানি ও নারাথিওয়াত স্বাধীন মালয়-মুসলিম সালতানাতের অংশ ছিল।