ব্রিটবাংলা ডেস্ক : নতুন নেতা নির্বাচিত হবার আগেই লেবার পার্টির ভেতরে বর্তমান নেতা করবিন সমর্থকরা একাট্টা হওয়ার চেস্টা করছেন। বিশেষ করে দলের শীর্ষ পর্যায়ে করবিন অনুসারীদের নিয়োগের প্রচেস্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গার্ডিয়ানের এক সংবাদে বলা হয়েছে, এর অংশ হিসাবে লেবার পার্টির প্রধান কার্যালয় থেকে দলের হেড অব প্রেস এন্ড ব্রডকাস্টিং, হেড অব পলিসি ডেভলাপমেন্ট এবং ডেপুটি রিজিওনাল ডাইরেক্টর (লন্ডন) নিয়োগের চেস্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
https://britbangla24.com/news/99050/
দলের শীর্ষ এই তিনটি পদে করবিন অনুসারীদের নিয়োগ নিশ্চিত করার জন্যে গত সপ্তাহে স্টাফদের কাছে ইমেইলের মাধ্যমে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে। ফেব্রুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে এসব পদের জন্যে আবেদন করতে হবে।
আগামী এপ্রিলে নতুন নেতা নির্বাচিত হবেন। কিন্তু দলের শীর্ষ এবং নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে যাতে করবিন অনুসারীদের নিয়ন্ত্রনে থাকে তা নিশ্চিত করার জন্যে দলের জেনারেল সেক্রেটারী জেনি ফর্মবি এই কাজগুলো করাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও নতুন লিডার দায়িত্ব গ্রহনের পর এই পদগুলো পুরনের কথা রয়েছে।
দলের একজন মূখপাত্র বলেছেন, নতুন নেতা দায়িত্ব নেয়ার পূর্ব পর্যন্ত দলের সিনিয়র এবং গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করা উচিত। না হলে মনে হবে আগামি এপ্রিলে যেই নেতা নির্বাচক হবেন তার উপর এসব নতুন অফিসারদের চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যদিও দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এ ধরনের উদ্দেশ্য দলের ভেতরে নেই। নিয়োগ প্রক্রিয়া সব সময়ই দলের হেড কোয়ার্টারের কাছে থাকে। এটা কখনো লিডারের হাতে থাকে না।
গত ১২ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বর্তমান নেতা জেরেমি করবিনের নেতৃত্বে ১৯৩৫ সালের পর সব চাইতে খারাপ ফলাফল করেছে। কট্টর বামপন্থী জেরেমি করবিন নির্বাচনের পরপরই পদত্যাগ না করে নতুন নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্যে দলের ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটিকে অনুরোধ করেন।
নতুন নেতা নির্বাচনে চার জন এমপি লড়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে রেবেকা লং বেইলিকে জেরেমি করবিন নিজে সমর্থন দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এরি মধ্যে জেরেমি অনুসারী তৃনমূলের সংগঠন মোমেন্টাম রেবেকা লং বেইলিকে সমর্থন দিয়েছে। এছাড়া গত সপ্তাহে ইউকের বৃহৎ ইউনিয়ন ‘ইউনাইট’ রেবেকাকে সমর্থন দিয়েছে। ইউনাইটের জেনারেল সেক্রেটারী লেন ম্যাকক্লাসকি লেবারের বিদায়ী লিডার জেরেমি করবিনের ঘনিস্ট সমর্থক। তবে অপর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী স্যার কিয়ার স্টারমার এবং লিসা নন্দীর সাথে মূল ব্যালটে স্থান পেতে হলে রেবেকাকে লেবার এফিলিয়েটেড আরো একটি ইউনিয়ন বা গ্রুপের সমর্থন আদায় করতে হবে।
অন্য দিকে মূল ব্যালটে স্থান করে নিতে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী এমিলি থর্নবারি ৩৩টি সিএলপির ( কন্সটিটিউয়েন্সি লেবার পার্টি) সমর্থন আদায়ের চেস্টা করছেন। তবে এদিক দিয়ে এগিয়ে আছেন স্যার স্টারমার। তিনি শনিবার পর্যন্ত ৩৯টি সিএলপির সমর্থন আদায় করেছেন। রেবেকা ১৫, লিসা ৯ এবং থর্নবারি ৩টি সিএলপি সমর্থন পেয়েছেন এ পর্যন্ত।