ফারজানা ইসলাম লিনু
নিদারুণ কষ্ট আর অপরিসীম ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা আজ হুমকির মুখে। একের পর এক অনিয়ম ও স্বার্থের দ্বন্দ্বে বন্দি আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
রাজাকার হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, আর মুক্তিযোদ্ধা হয় রাজাকার।
দেশ স্বাধীন হওয়ার বছরের পাঁচেক পরে এই ধরাধামে আগমন ঘটলেও আপনজনদের মুখে যুদ্ধদিনের কাহিনী শুনে শুনেই আমাদের বেড়ে উঠা। তাইতো শিশুকাল থেকে মুক্তিযুদ্ধের সাথে আমাদের নাম নিবিড় পরিচয়।
মায়ের বিশাল পরিবারে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ থেকে শুরু করে রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা ও পাক বাহিনীর টর্চার সেল থেকে পালিয়ে আসা মুক্তিযোদ্ধাও ছিলেন। যাদের খুব কাছে থেকে দেখার সৌভাগ্য আমাদের হয়েছিলো।
তৎকালীন প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য, সিলেট -১২ আসনের নির্বাচিত এমপি তৈমুছ আলী ছিলেন আমার মায়ের ছোট মামা। মুলত তার কারণেই আমার মামারা ও মায়ের পুরো পরিবার স্বাধিকার ও স্বাধীনতার আন্দোলনে জড়িয়ে যায় পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই।
১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ ঢাকা আক্রমণের পর মোজাহিদ বাহিনির সদস্য আমাদের বড় মামা এম.এ জলিল মাসুক ও ছোট মামা তৎকালীন জেলা ছাত্রলীগের সদস্য বদরুল হোসেন (বর্তমানে জুড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি) যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে ভারতে চলে যান।
মাতুল পরিবারের যুদ্ধ ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়। ভীতসন্ত্রস্ত মানুষ বাসভবনে পাকিস্তানি পতাকা উড়িয়ে সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে চান।
“জান বাঁচানো ফরজ”….হিতৈষীরা বাসার সামনে পাকিস্তানি পতাকা স্থাপনের পরামর্শ দিলে নানাজি দৃপ্ত কন্ঠে তা প্রত্যাখ্যান করেন।
স্বাধীনতাকামী এই প্রবীণের পুত্রদ্বয় ও পরিজনেরা যুদ্ধে, স্ত্রী কন্যারাও গ্রামের বাড়িতে নিরাপদ আশ্রয়ে। পুরনো ভৃত্য ও এক পুত্রকে সাথে নিয়ে নিজে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসত ভিটার পাহারায় থাকেন। নিরাপদে সরে যাওয়ার অনুরোধ করলে আবারও সাহসী কন্ঠে প্রত্যাখ্যান, পাকবাহিনী আসলে দা দিয়ে ধাওয়া করবো, তবুও এক মুটো মাটির দাবি ছাড়বো না।
ঢাকা অভিযান অসমাপ্ত রেখেই পাক বাহিনী ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। তৈমুছ আলীর নাম মোস্ট ওয়ানটেড তালিকায় থাকায় জুড়িতে আসতে কালক্ষেপণ করেনা শত্রুরা। নানাজির বাসা থেকে মাত্র কয়েক গজ দূরে ব্রীজের উপর পাক বাহিনীর বুটের আওয়াজ পাওয়া যায় কোন এক সন্ধ্যায়।
আধুনিক অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত পাকবাহিনীকে দা দিয়ে প্রতিহত করা যাবে না, আর এইখানে থাকা নিরাপদ নয়। মেঝো মামা নানাজিকে পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান গ্রামের বাড়ি।
জুড়িতে এসেই পাঞ্জাবীরা সর্বপ্রথম নানাজির বাসা ও এমপি সাহেবের বাসা খোঁজে বের করে। কিন্তু বাসায় ঢুকতে গিয়েই পোষা কুকুরদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে পাক আর্মিরা। শত্রুবাহিনীকে মনিবের বাড়িতে ঢুকতে দিবে না কোনভাবেই। বড় মামার পোষা কুকুর যুগল প্রতিরোধ প্রতিরোধ ভাঙতে গুলি করে হত্যা করে কুকুরদের।
পেট্রোল ঢেলে একসাথে নানাজির বাসা ও তৈমুছ আলীর বাসায় আগুন ধরিয়ে দেয় পাঞ্জাবীরা। রাস্তার দুই পাশে দুই বাসার অবস্থান। অগ্নিসংযোগ করার আগে রাজাকারেরা লুট করে নিয়ে যায় যাবতীয় ব্যবহার্য জিনিসপত্র।
লেলিহান আগুনে পুড়ে ছাই হয় সবকিছু।
পার্শ্ববর্তী নানাজির ভাইয়ের দ্বিতল ভবন ধ্বংস না করে সেখানে অবস্থান নেয় পাকবাহিনী। নানাজির ভস্মীভূত ভিটার মাটি সমান করতে গিয়ে শ্রমিকরা খুঁজে পায় মাটির নিচে পুতে রাখা ধাতব মুদ্রা ভর্তি ডেক্সি। না এটা কোন গুপ্ত ধন নয়। নানাজির সারাজীবনের সঞ্চয় সাথে রাখা নিরাপদ নয় ভেবে লুকিয়ে রেখেছিলেন মাটির নিচে। কে আগে পেয়েছে, কে বেশি নিবে এই নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে বচসা লেগে গেলে এগিয়ে আসে সৈন্যরা। ঝগড়া থামাতে সেই টাকা হস্তগত হয় সৈন্যদের।
যুদ্ধকালীন পুরোটা সময় হানাদারেরা এই বাসায় অবস্থান করে নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষনের মতো সব অপকর্ম চালিয়ে যায় একে একে। গোলার ধান, ঘরে পালা হাঁস, মুরগী ও ছাগল তাদের ভোজনের খোরাক জোগায় অনেক দিন।
যুদ্ধের পর এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি আবিষ্কৃত হয় নানাজির বসত ভিটায়। রাজাকারদের সহায়তায় প্রতিদিন অসংখ্য মানুষকে ধরে আনা হতো এই নির্যাতন কেন্দ্রে। নির্মম নির্যাতন শেষে মৃত অথবা জীবিত পুতে ফেলা হতো তাদের। পাঞ্জাবীদের ভোগের জন্যও রাজাকারদের চিরুনি অভিযান অব্যাহত ছিলো। জুড়ি ও পার্শ্ববর্তি এলাকা থেকে সুন্দরী মেয়েদের ধরে আনা হতো এইখানে।
নানিজি মেয়েদের নিয়ে ভুকশিমইলে গ্রামের বাড়িতে আত্মগোপন করেছেন, সুযোগ সন্ধানি রাজাকারদের কল্যাণে এই খবর পাকবাহিনীর কাছে গোপন থাকেনা।
প্রচন্ড জোক ও সরীসৃপ ভীতি নিয়ে বেলুচ ও পাঞ্জাবী আর্মিরা নৌকা দিয়ে হাকালুকি পার হওয়ার ঝুঁকি নিবেনা। এই বিশ্বাস ছিলো সবার। কিন্তু সব ভীতি দূরে ঠেলে শিকারের খুঁজে একদিন শত্রুরা হাজির হয় ভুকশিমইলে। তাদের আকস্মিক আগমনে অপ্রস্তুত নানিজি মেয়েদের নিয়ে আশ্রয় নেন বাঁশের বেড়ার ভাঙা এক শৌচাগারে।
মরিয়া রাজাকার ও হানাদারেরা তাদের খুঁজে পুরো গ্রাম ঘুরে তন্ন তন্ন করে। শত্রুপক্ষের নেতৃত্বে থাকা আর্মি কমান্ডার মেজর দাউদের থেকে মাত্র কয়েক হাত দূরে তারা লুকিয়ে ছিলেন। জোরে নিঃশ্বাস ফেললেও লোকটার গায়ে লাগবে। শ্বাস বন্ধ করে জীবনের আশা ছেড়ে দিয়ে তিনটা প্রাণী ছোট শৌচাগারে পড়ে থাকেন কয়েক ঘন্টা।
মজলুমের সহায় আল্লাহ। পরিত্যক্ত শৌচাগারে আল্লাহ তাদের নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখেন। যদিও নানিজি প্রস্তুত ছিলেন পাকিস্তানিদের হাতে তুলে দেয়ার আগে নিজেই মেয়েকে হত্যা করবেন।
মা-মেয়েরা সেদিনের মতো রক্ষা পেলেও, এইখানে থাকার আর অনুমতি মেলে না। গ্রামবাসীরা তাদের আশ্রয় দিতে অস্বীকৃতি জানায়। কারণ তাদের খোঁজে আবার আসবে রাজাকারের দল।
রাজাকারদের চোখ ফাঁকি দিয়ে অনেক কষ্টে দুর্গম জঙ্গলে, হাওরে রাত কাটিয়ে একদিন সীমান্ত পাড়ি দিতে সক্ষম হন। ফুলতলা বর্ডারের ওপারে ধর্মনগরে লাখ লাখ গৃহহীন মানুষের সাথে শুরু হয় তাদের অনিশ্চিত শরনার্থী জীবন।
রাজাকারদের বিশ্বাস ছিলো, এই দেশ কোনদিন স্বাধীন হবেনা। মুক্তিযোদ্ধারা পিপড়ার মতো মারা পড়বে পাকবাহিনীর হাতে। শরনার্থীরা ফিরতে পারবেনা দেশে। তাদের ফেলে যাওয়া সম্পত্তির পুরোপুরি মালিকানা শান্তিবাহিনী, আল বদর, আল শামস ও রাজাকারদের।
পাকবাহিনীর সাথে রাজাকারদের নারকীয় তান্ডব তাই উত্তরোত্তর বাড়তে থাকে।
দৃঢ় প্রত্যয়ী মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল ছিলো অবিচল, দেশ স্বাধীন না করে তারা ঘরে ফিরবো না।
রাজাকারদের সব ভবিষ্যৎ বাণী ভুল প্রমাণ করে অকুতোভয় বীর বাঙালি মাত্র নয় মাসের মাথায় লাল সবুজ পতাকা হাতে ফিরে আসে স্বাধীন দেশে।
আমাদের নানাজিও বিশাল পরিবার নিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে শূন্য হাতে ফিরে আসেন। পাকিস্তানিদের তান্ডব লীলা ও রাজাকারদের লুটপাটে নিঃস্ব জুড়ি বাজারের এক সময়ের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী আজ আশ্রয়হীন। চারপাশে শত্রুর সহিংসতার স্পষ্ট চিহ্নকে সঙ্গী করে খোলা আকাশের নিচে খেয়ে না খেয়ে রাত কাটাতে হয় তাদের। তাও মনে সান্ত্বনা দেশতো স্বাধীন হয়েছে।
বধ্যভুমির মাটি চাপা থেকে বেঁচে যাওয়া আহত এক মুক্তিযোদ্ধার জবানবন্দি থেকে চিহ্নিত জায়গায় গণকবরের সন্ধান চলে। বসত ভিটার আশেপাশে একে একে আবিষ্কৃত হয় অসংখ্য গণকবর। বিশেষ করে পুকুরগুলোতে ছিলো লাশের স্তুপ।
সাব সেক্টর কমান্ডার বড় মামার নেতৃত্বে যুদ্ধ ফেরত মুক্তিযোদ্ধাদের স্বেচ্ছাশ্রমে চলতে থাকে উদ্ধার কাজ। গলিত লাশ, মাথার খুলি, হাড়গোড়ের অস্তিত্ব দেখে অনুমান করার উপায় ছিলো না কত মানুষকে হত্যা করেছে জল্লাদেরা।
পঁচা লাশের গন্ধে জুড়ির আকাশ বাতাস ভারী। যুদ্ধজয়ী অসীম সাহসী মুক্তিযোদ্ধারাও লাশের ভার আর বইতে পারছেন না। পাকিস্তানিদের লালসার স্বীকার ধর্ষিতা বহু নারীর লাশও বেরিয়ে আসে বধ্যভুমি থেকে। টর্চার সেল থেকে কাকতালীয় ভাবে বেঁচে যাওয়া দু’এক জনের জবানবন্দি থেকে কয়েকজনের পরিচয় পাওয়া গেলেও অনেক পরিচয় থেকে যায় অজ্ঞাত।
নানাবাড়ির সব পুকুর পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। আম্মাদের কাছে শুনেছি যুদ্ধপরবর্তী কয়েক বছর কুকুর, কাক, শকুন মানুষের হাড়গোড় নিয়ে টানাটানি করতো।
কিছু বছর আগেও বড় মামার ঘরের সামনে অক্ষত ছিলো পাকিস্তানিদের নির্মিত বাঙ্কার। খেলতে খেলতে বাঙ্কারের পাশে গেলে বড়রা সাবধান করতেন, মাটির নিচের নিষ্ক্রিয় কোন গ্রেনেড হঠাৎ বিস্ফোরিত হতে পারে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে কোন ধরনের সরকারি সহায়তা ছাড়া উদ্বাস্তু জীবন থেকে বেরিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করে মায়ের পরিবার। কিন্তু যুদ্ধের মাত্র তিন বছরের মাথায় স্বাধীন দেশে আততায়ীর ব্রাশফায়ারে নিহত হন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর রণাঙ্গনের অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা ও নির্বাচিত এমপি তৈমুছ আলী।
বঙ্গবন্ধু এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের আশ্বাস দিলেও নিজেই অশুভ শক্তির হাতে সপরিবারে প্রাণ হারান পরের বছর। বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদতে থাকে। আজও হয়নি সেই নির্মম হত্যাকান্ডের বিচার।
ইদুরের গর্তে আত্মগোপন করে থাকা রাজাকারেরা আস্তে আস্তে খোলস পাল্টে বেরিয়ে আসে।
বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমাও তাদের জন্য শাপে বর হয়। ইতিহাস পাল্টাতে থাকে দ্রুত। রাজাকারেরা হয় মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধারা হয় অবহেলিত।
পৈত্রিক সম্পত্তির উপরে নির্ভর করে অভাবে অনটনে দিনাতিপাত করা বড় মামার গর্ব ছিলো, তিনি একজন রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা। সম্মুখ সমরে যুদ্ধ করে ছিনিয়ে এনেছেন স্বাধীনতা। অন্যায় দেখলে উত্তেজিত হয়ে বলতেন, লড়াই কি করেছিলাম মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ও ছেলে মেয়ের চাকুরির জন্য?
একুশ বছর স্বাধীনতার পক্ষের দল ক্ষমতার বাইরে ছিলো, জেল, জুলুম অত্যাচার থেমে ছিলো না এই পরিবারের উপর। রাজনৈতিক পরিচয়ে যেমন সুবিধা ভোগ করেন নি, তেমনি রাজাকারদের প্রতি ঘৃণা সামান্যতম ফিকে হয় নি।
টেলিভিশনে যখন শহীদ জায়া, জননী ও কন্যার কান্না দেখি তখন বুঝতে পারি কি ত্যাগ করেছে একেকটি পরিবার। শহীদদের স্বজনের কান্নায় বুক ফেঁটে চৌচির হয়ে যায়। এই বাংলা, এই স্বাধীনতা, এই স্বাধীন দেশের পতাকা কেউ আমাদের এমনি এমনি উপহার দেয় নি। বড় ত্যাগে ও সীমাহীন মূল্যে কেনা এই স্বাধীনতা।
স্বাধীনতার অর্ধেক শতক পার করে সুবর্ণ জয়ন্তির সুবার্তা পৌছে দিতে আর মাত্র দুই বছর বাকি। আট চ্লিশ বছর নেহায়েত কম সময় নয়। জীবন বাজি রেখে দেশ স্বাধীন করা মুক্তিযোদ্ধাদের বড় অংশ আজ প্রয়াত। যারা বেঁচে আছেন তারাও বয়সের ভারে ন্যুব্জ প্রায়। জীবন সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে মুক্তিযোদ্ধারা রাজাকারের তকমা পিঠে ঝুলিয়ে স্বাধীনতার অর্ধশতক উদযাপন করবেন, এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কি হতে পারে?
মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রণালয়ের অদায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের কৃতকর্মের খেসারত দিচ্ছে আজ পুরো জাতি। ভুল তালিকার পেছনে সরকারের খরচ হয়েছে ছয় কোটি টাকা, আর এক মন্ত্রণালয় থেকে আরেক মন্ত্রণালয়ে অদল বদল হয়েছে সামান্য একটা পেনড্রাইভ। এ যেনো রীতিমতো হরিরলুট।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত রাজাকারের তালিকা আসলেই কি অনিচ্ছাকৃত ভুল, নাকি পরিকল্পিত ও ইচ্ছাকৃত অপকর্ম? সেই প্রশ্নের জবাব নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছেনা। একের পর এক বেরিয়ে আসছে অসংলগ্নতা।
রাজাকারের তালিকা দেখে নিজেও প্রমাদ গুনি এই বুঝি আমার আপনজন সর্বত্যাগী কোন মুক্তিযোদ্ধার নাম উঠে আসলো রাজাকারের তালিকায়।
প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে দুই মন্ত্রণালয়ের কাঁদা ছুঁড়াছুঁড়ি ও দোষারোপ আপাতত বন্ধ হয়েছে। “এটাই চুড়ান্ত তালিকা নয়”, প্রধানমন্ত্রীর এই আশ্বাসের উপরই আমাদের শেষ ভরসা।