দুদকের ৬ অভিযান

দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (টোল ফ্রি হটলাইন -১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সারাদেশে আজ ০৬টি অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক।

? অভিযান নং – ০১ঃ
রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও অনিয়মের অভিযোগে নোয়াখালীর’র সোনাইমুড়ীতে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। সমন্বিত জেলা কার্যালয়, নোয়াখালী’র সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদ –এর নেতৃত্বে আজ দুটি অভিযান পরিচালিত হয়। দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (টোল ফ্রি হটলাইন -১০৬) অভিযোগ আসে, সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাইমুড়ী জিসি – জমিদারহাট জিসি ভায়া কাশিপুর পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন পরিদর্শনকালে দুদক টিম দেখতে পায় যে, উল্লিখিত রাস্তার দু’পাশে প্যালাসাইডিং এবং পর্যাপ্ত মাটি না দেওয়ার কারণে রাস্তা ভেঙ্গে যাচ্ছে। কালভার্ট নির্মাণের কাজ সমাপ্ত না করে ফেলে রাখা হয়েছে এবং এর উপরে কোন পাটাতন না দেওয়ায় জনগণের যাতায়াতের জন্য দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

? অভিযান নং ০২ঃ
চাষীরহাট ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ভূঁইয়া বাজার হুনাফা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে শাহারপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে একই টিম অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে টিম দেখতে পায়, বর্ণিত রাস্তার দু’পাশে দেড় ফুট করে মাটি দেওয়ার কথা থাকলেও মাটি না দিয়ে কাজ সমাপ্ত হয়েছে। দুদক টিম উভয় সড়ক নির্মাণ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ করে। অনিয়মসমূহের বিষয়ে অনুসন্ধানের সুপারিশ করে কমিশনে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে।

? অভিযান নং – ০৩ঃ
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী’র ইপিআই ইউনিট কর্তৃক গাড়ি মেরামতের ভুয়া ভাউচার দিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নুরজাহান পারভীন –এর নেতৃত্বে আজ এ অভিযান পরিচালিত হয়। দুদক টিম ইপিআই কর্তৃক ব্যবহৃত ৪টি গাড়ির তথ্য সংগ্রহ করে। টিম দেখতে পায়, প্রতিটি গাড়িতেই মেরামত বাবদ নিয়মিত বিরতিতে ড্রাইভারগণ ৩৬০০ -৩৮০০ টাকা উত্তোলন করেছেন। টিম একটি ভাউচারে উল্লিখিত রিপেয়ারিং শপে ফোন করে জানতে পারে, উক্ত দোকানে আদৌ উল্লিখিত গাড়ির কোন মেরামত করানো হয়নি। সার্বিক বিবেচনায় ভুয়া ভাউচার সৃজনপূর্বক এ প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রের অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে এবং যাচাই না করেই উক্ত বিলসমূহ পাস করা হয়েছে মর্মে দুদক টিমের নিকট প্রতীয়মান হয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধানের সুপারিশপূর্বক কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে অভিযানকারী টিম।

? অভিযান নং – ০৪ঃ
টাঙ্গাইলে নাগরপুর উপজেলায় রাস্তা মেরামতে ব্লক প্রতিস্থাপনে অনিয়মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগ আসে, নাগরপুর উপজেলার ভদ্রা হতে ধুনাইল পর্যন্ত রাস্তায় সঠিকভাবে ব্লক প্রতিস্থাপনের কাজ না করায় এক মাসের মধ্যে রাস্তা ভেঙ্গে যায়। তৎপ্রেক্ষিতে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, টাঙ্গাইল -এর উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে আজ এ অভিযান পরিচালিত হয়। সরেজমিন অভিযানে উল্লিখিত মেরামতে অত্যন্ত নিম্নমানের ব্লক ব্যবহৃত হয়েছিল মর্মে দুদক টিমের নিকট প্রতীয়মান হয়। টিম উক্ত মেরামত সংক্রান্ত তথ্যাবলী সংগ্রহ করে। তথ্যাবলি বিশ্লেষণপূর্বক কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে অভিযানকারী টিম।

? অভিযান নং – ০৫ ও ০৬ঃ
পাবনা পাসপোর্ট অফিসে ভুল সংশোধন, ফরম জমা এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট গ্রহণে অবৈধ অর্থ আদায় এবং গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে এবং পাবনা পৌরসভা কর্তৃক রাস্তা সংস্কার ও ড্রেন নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, পাবনা হতে দুটি পৃথক অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

Advertisement