ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: আমাদের দেশে ইংরেজিতে ‘আই লাভ ইউ’ বা বাংলায় ‘ভালোবাসি তোমায়’ বাক্যটি উচ্চারণের মধ্য দিয়েই ভালোবাসা প্রকাশ করা হয়। ভালোবাসা প্রকাশের জন্য বাক্যটি চিরন্তন। অমোঘ এই বাক্যে বাস্তবিকই জাদু আছে। তবে এই জাদু দেশভেদে আলাদা। ভৌগলিক অবস্থানের প্রেক্ষিতেই বদলে যায় ভালোবাসা, বদলে যায় ভালোবাসা প্রকাশের ধরণও। একই কথা একেকজন একেকভাবে প্রকাশ করেন। ভালোবাসার এই দিনে চলুন জেনে নেওয়া যাক ‘ভালোবাসি’ শব্দটি কোন দেশে কিভাবে প্রকাশ করা হয়।
জাপান : আশ্চর্যজনক হলেও এটা সত্যি যে, জাপানি ভাষায় সরাসরি ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’ বলা যায় না। এখানে ‘ভালোলাগা’ (সুকি) এবং ‘স্নেহ’ (আই) এর কাছাকাছি শব্দ দিয়েই অনুভূতি প্রকাশ করা হয়। ‘আই শাইটিরু’ শব্দটির অর্থ ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’র কিছুটা কাছাকাছি ধরনের।এ কারণে জাপানি প্রেমিকরা ‘আই লাভ ইউ’ শব্দটি বোঝাতে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেন।
ফ্রান্স : পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের তুলনায় ফ্রান্সে ডেটিংয়ের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখানে একই সঙ্গে কয়েকজনের সঙ্গে ডেট করা খুবই সাধারণ ব্যাপার। সাধারণত ডেটিংয়ের দুই মাসের মধ্যে এখানকার প্রেমিক-প্রেমিকারা একে অপরকে ‘আই লাভ ইউ’ বাক্যটি বলেন। ফ্রান্সে, ডেটিংয়ের কয়েকদিনের মধ্যেই প্রেমিক বা প্রেমিকাকে তারা নিজেদের বন্ধুদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। আর বাবা-মায়ের সঙ্গে নিজেদের প্রেমিক- প্রেমিকাকে পরিচয় করিয়ে দেন ডেটিংয়ের এক থেকে তিন মাসের মধ্যে।
ইরাক : ভালোলাগা এবং ভালোবাসা- আরবিতে একই ভাবে লেখা হয়। অন্য সব দেশে এটা পরিচিত না হলেও এখানে প্রথম দেখাতেই কোন পুরুষ একজন নারীকে খুব সহেজই ‘ভালবাসি’ শব্দটা বলতে পারেন।
ইরান : বিংশ শতাব্দীর ইরানে সাধারণত পুরুষরাই ‘আই লাভ ইউ’ বলে সম্পর্ক শুরু করতেন। তখন ভালোবাসার কথা বললে বিয়ে করতেই হত। কন্যার বাবা মায়ের কাছে গিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিতে হত। ১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লব নারীদের জন্য প্রেমের পৃথিবীর রঙ বদলে দেয়।এখন সেখানে ‘আই লাভ ইউ’ পুরুষ- নারী উভয়েই বলতে পারেন। এই বাক্যটি বলার অর্থ হলো ‘তোমার সঙ্গে সম্পর্ক আরেক ধাপ এগুতে আমি রাজী’।
চীন : ডেটিং করার সময় কোনও পুরুষ ‘ও আই নি’ শব্দটি বলার অর্থ হলো তিনি একটি বিশেষ সম্পর্ক চাইছেন। এর আগে অবশ্য তিনি ওই নারীর সঙ্গে ঘুরে বেড়াতে, ডেটিং করতে পারবেন। কিন্তু প্রকাশ্যে প্রেমিক প্রেমিকা হিসাবে সম্পর্কের জানান দিতে ‘ও আই নি’ শব্দটি বলতেই হয়। সূত্র : এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া