ধর্ষকদের আয় লাখ টাকার বেশি

ব্রিট বাংলা ডেস্ক : ভারতের প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানিয়েছেন তারা। তবে গত সাত বছরে কারাগারের মধ্যে কোনো কাজই করেননি মুকেশ সিংহ। দীর্ঘ সময়ে বার বার নিয়ম ভঙ্গ করেছেন তারা।

তবে, ফাঁসি কার্যকর হওয়ার এক সপ্তাহ আগে নির্ভয়া কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত মুকেশ সিংহ, অক্ষয় ঠাকুর, পবন গুপ্ত এবং বিনয় শর্মা সম্পর্কে এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে।

তিহার কারাগার সূত্রে জানা গেছে, বন্দি থাকা অবস্থায় গত সাত বছরে পরিশ্রম করতে হয়েছে নির্ভয়ার ধর্ষকদের। তা থেকে অক্ষয়, পবন এবং বিনয় মিলে মোট এক লাখ ৩৭ হাজার টাকা আয় করেছেন। অক্ষয় একাই ৬৯ হাজার টাকা রোজগার করেছেন। পবন রোজগার করেছেন ২৯ হাজার টাকা। ৩৯ হাজার টাকা আয় করেছেন বিনয়। একমাত্র মুকেশ কোনো কাজ করতে রাজি হননি।

২০১৬ সালে ওই চার জন নতুন করে পড়াশোনা শুরু করেন। মুকেশ, পবন এবং অক্ষয় দশম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে পরীক্ষায় বসেন। কিন্তু তাদের কেউই পাস করতে পারেননি। ২০১৫ সালে স্নাতক স্তরে ভর্তি হন বিনয়। কোর্স শেষ করতে পারেননি তিনিও।

গত সাত বছরে বহুবার নিয়ম ভেঙেছেন তারা। মোট ১১ বার কারাগারের নিয়ম ভেঙেছেন বিনয়। পবন আট বার নিয়ম ভেঙেছেন। মুকেশ নিয়ম ভেঙেছেন তিন বার। এক বার নিয়ম ভেঙেছেন অক্ষয়। তার জন্য তারা শাস্তিও পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার আগে দু’বার পরিবারেরর লোকদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি আছে তাদের। কারাগারের মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার শাস্তি পাওয়া বিনয়ের সঙ্গে দেখা করতে মঙ্গলবার তিহারে পৌঁছান তার বাবা।

তার দু’দিন আগে মুকেশের সঙ্গে তার মায়ের দেখা হয়। গত ৭ জানুয়ারি পবনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল তার পরিবার। নভেম্বরে অক্ষয়ের সঙ্গে জেলে দেখা করে যান তার স্ত্রী। কিন্তু গত ৭ জানুয়ারি আদালত মৃত্যু পরোয়ানা জারির করার পর পরিবারের কোনো সদস্য তাকে দেখতে আসেনি।

চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি পৃথিবীর বৃহত্তম কারাগার চত্বর তিহারের ৩ নম্বর জেলে ওই চারজনকে একসঙ্গে ফাঁসিতে ঝোলানোর কথা রয়েছে। গত রবিবার সেখানে ফাঁসির মহড়াও সারা হয়ে গেছে।

ভারতে এই প্রথম একসঙ্গে এতজনকে ফাঁসিতে ঝোলানোর প্রস্তুতি চলছে। সেজন্য মেরঠ থেকে পবন জল্লাদকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ফাঁসি পিছু ১৫ হাজার টাকা পাবেন তিনি।

মুকেশ এবং বিনয়ের ক্ষমা চেয়ে রায় বিবেচনার আবেদন এরই মধ্যে খারিজ করে দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের এই ঘোষণার পরেই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানিয়েছেন মুকেশ। তবে এখন পর্যন্ত নিজের সিদ্ধান্ত জানাননি রাষ্ট্রপতি।

Advertisement