ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির মামলায় হলিউডের নিন্দিত পরিচালক হারভে উইন্সটেনকে ২৩ বছরের জেল দিয়েছে আদালত। হলিউডের মুঘলের মতো চরম প্রভাবশালী অবস্থান থেকে নাটকীয়ভাবে তার অবস্থানের পতন ঘটে। এরপর গত মাসে তাকে এসব অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। শাস্তি ঘোষণার সময় বুধবার হুইল চেয়ারে করে ৬৭ বছর বয়সী উইন্সটেনকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তার আইনজীবীরা শাস্তি লঘু করার আর্জি জানান। তারা বলেন, তাকে সর্বনি¤œ ৫ বছরের জেল দেয়া হলে তাকেই ‘যাবজ্জীবন কারাদন্ড’ হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে। কিন্তু তাদের কথার প্রতিবাদ জানান প্রসিকিউটররা। তারা আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে বলেন, হারভে উইন্সটেনকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া উচিত।
নারীদের বিরুদ্ধে তিনি যে নির্যাতন করেছেন তাতে এটা তার প্রাপ্য। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এদিন প্রথমবারের মতো আদালতে বক্তব্য রাখেন অভিযুক্ত হারভে উইন্সটেন। জানান, তিনি মানসিকভাবে খুব ভেঙে পড়েছেন। হারভে উইন্সটেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনেন হলিউডের নামকরা অভিনেত্রীসহ কয়েক ডজন নারী। ২০১৭ সালের অক্টোবরে যখন নারীনির্যাতন বিরোধী মি টু আন্দোলন জোরালো হয়েছিল সারাবিশ্বে, তখনই মুখ খোলেন ওইসব নারী। তবে বরাবর ওই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছিলেন উইন্সটেন ও তার আইনজীবীরা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তার। এখন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন তার আইনজীবীরা। হারভে উইন্সটেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, যৌন হয়রানিসহ আরো অপরাধ বিষয়ক অভিযোগের বিচার চলছে লস অ্যানজেলেসে। ওদিকে বুধবার শাস্তি ঘোষণার পর পরই বুকের ব্যথার কারণে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ম্যানহাটানে বেলেভু হাসপাতালে। তাকে অভিযুক্ত করার পর হয়েছে হার্ট সার্জারি।
২০০৬ সালে প্রডাকশন সহকারী মিরিয়াম হ্যালের সঙ্গে তিনি যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটিয়েছিলেন বলে তাকে দায়ী করা হয়। ২০১৩ সালে উদীয়মান অভিনেত্রী জেসিকা মান থার্ড-ডিগ্রি ধর্ষণের অভিযোগ করেন তার বিরুদ্ধে। তবে নিউ ইয়র্কের জুরিরা তাকে খুব গুরুত্বর কিছু অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার আগে ৬ জন নারী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় তারা পাশাপাশি বসেছিলেন আদালতে।