ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের জামিনের মেয়াদ আর বাড়াবে না পাকিস্তান সরকার। এ ছাড়া জামিনের শর্ত অনুযায়ী তার মেডিকেল রিপোর্ট বোর্ডের কাছে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। কিন্তু ওই রিপোর্ট জমা দেয়া হয় নি। ফলে তিনি জামিনের শর্ত লঙ্ঘন করেছেন বলে তাকে মঙ্গলবার পলাতক ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ডন।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক বিশেষ সহকারী ড. ফিরদৌস আশিক আওয়ান। এতে তিনি বলেন, লন্ডনের কোনো হাসপাতালের মেডিকেল রিপোর্ট জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন নওয়াজ শরীফ।
ফলে তিনি যে মেডিকেল সার্টিফিকেট পাঠিয়েছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছে মেডিকেল বোর্ড। একই সঙ্গে সরকার তাকে পলাতক ঘোষণা করেছে। দেশের আইন অনুযায়ী এখন থেকে নওয়াজ শরীফ একজন পলাতক। যদি তিনি এ অবস্থায় দেশে ফেরত না আসেন তাহলে তাকে অপরাধী হিসেবে ঘোষণা দেয়া হবে। ফিরদৌস আশিক আওয়ান আরো বলেন, অসুস্থতার কারণে নওয়াজ শরীফের বিষয় দেখাশোনার জন্য পাঞ্জাব সরকারকে কর্তৃত্ব দিয়েছিল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। এর প্রেক্ষিতে লন্ডনের যেকোনো হাসপাতাল থেকে নওয়াজ শরীফের মেডিকেল সার্টিফিকেট চেয়ে বেশ কয়েকটি চিঠি নওয়াজ শরীফের কাছে লিখেছে পাঞ্জাব রাজ্য সরকার। কিন্তু নওয়াজ তা করেন নি। তিনি শুধু একটি সার্টিফিকেট পাঠিয়েছেন, যা মেডিকেল বোর্ড গ্রহণ করেনি। ফিরদৌস আশিক আওয়ান প্রশ্ন রাখেন, নওয়াজ শরীফ যদি গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে থাকেন তাহলে কেন তার মেডিকেল পরীক্ষার বিস্তারিত রিপোর্ট মেডিকেল বোর্ডের কাছে জমা দেয়া হচ্ছে না।
নওয়াজ শরীফ পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) প্রতিষ্ঠাতা। দুর্নীতির দায়ে তিনি অভিযুক্ত হয়ে অযোগ্য ঘোষিত হন। ২৯ অক্টোবর চিকিৎসার জন্য তাকে আট সপ্তাহের জন্য জামিন মঞ্জুর করে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। ১৯ নভেম্বর তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করেন। সঙ্গে ছিলেন তার ছোটভাই ও জাতীয় পরিষদে বিরোধী দলীয় নেতা শাহবাজ শরীফ। তিনিও এখন লন্ডনে। ফিরদৌস আশিক আওয়ান বলেন, নওয়াজ শরীফের প্রকৃত অসুস্থতা সম্পর্কে, চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চায় মেডিকেল বোর্ড। কিন্তু পাঞ্জাব সরকারের চিঠির জবাবের অভাবে নওয়াজের আট সপ্তাহের জামিন বর্ধিত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।