নতুন ব্রেক্সিট বিল এবং প্রধানমন্ত্রীত্ব : দু’কুল রক্ষার দৌঁড়ে থেরিজা মে

ব্রিটবাংলা ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী থেরিজা মে’র নতুন ব্রেক্সিট বিল শুক্রবারের বদলে জুনের প্রথম সপ্তাহে প্রকাশ করা হবে। এদিকে নতুন ব্রেক্সিট বিলের উপর অসন্তোষ প্রকাশ করে বুধবার রাতে পদগ্যাত করেছেন হাউস অব কমন্সের লিডার এন্ড্রিয়া লেডসম। এর মাধ্যমে মূলত পদত্যাগের জন্যে প্রধানমন্ত্রীর ওপর চাপ আরো বেড়েছে। যদিও ফরেন সেক্রেটারী জেরেমি হান্ট দৃঢ়তার সাথে বলেছেন, পদত্যাগ নয়, বরং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই থেরিজা মে জুনের প্রথম সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বৃটেনে স্বাগত জানাবেন। ৩ থেকে ৫ জুন ইউকে সফর করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, থেরিজা মে’র প্রধানমন্ত্রীত্ব এবং তার নতুন ব্্েরক্সিট, এই দুয়ের ভবিষ্যতই এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নতুন ব্রেক্সিট বিল জনসম্মুখে শুক্রবার প্রকাশের কথা ছিল। সেই তারিখ পিছিয়ে জুনের প্রথম সপ্তাহে নেওয়া হয়েছে বলে পার্লামেন্টে জানিয়েছেন সরকারের হুইপ। এ নিয়ে ভোটের তারিখও এখনো নির্ধারিত হয়নি। এরফলে লেবার পার্টি মনে করছে, এই প্রধানমন্ত্রীর আমলে নতুন ব্রেক্সিট বিল আর পার্লামেন্টে উঠবে না।
প্রধানমন্ত্রীর নতুন ব্রেক্সিট বিলের উপর অসন্তোষ প্রকাশ করে বুধবার রাতে পদত্যাগ করেন হাউব অব কমন্সের লিডার এন্ড্রিয়া লেডসম। তিনি প্রধানমন্ত্রী থেরিজা মে’কে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে কেবিনেটে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। ব্রেক্সিটিয়ার এন্ড্রিয়া লেডসমের পথ অনুসরণ করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মাইকেল গভ। এদিকে ফরেন সেক্রেটারী জেরেমি হ্যান্ট দৃঢ়তার সাথে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থেরিজা মে’ই থাকছেন। জুনের প্রথম সপ্তাহে তিনি বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বৃটেনে স্বাগত জানাবেন। ৩ থেকে ৫ জুন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইউকে সফরে আসছেন।

শুক্রবার টোরির ব্যাকব্যাঞ্চ কমিটির চেয়ারের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী থেরিজা মে। নতুন ব্রেক্সিট বিল নিয়ে দলের ভেতরে মতানৈক্যের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীন নজরে রয়েছে এবং দলের ভেতরে ঐক্য ধরে রাখার ব্যাপারেও তিনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে টেন ডাউনিং স্ট্রীট।

Advertisement